অরবিন্দ কেজরীবাল। —ফাইল চিত্র।
মুখে আম আদমি পার্টি ও কংগ্রেসের নেতারা দিল্লিতে আসন সমঝোতার সম্ভাবনা খারিজ করে দিলেও, এখনও অন্য ভাবে বোঝাপড়ার রাস্তা খোলার চেষ্টা হচ্ছে।
দিল্লির দু’একটি আসনে দু’দলেরই সমর্থনে বাইরের কাউকে প্রার্থী করা যায় কি না, তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে। বিশেষ করে শত্রুঘ্ন সিন্হার মতো ‘মোদী-বিরোধী’ অথচ বিজেপির ঘরের লোককে প্রার্থী করা যায় কি না, তা ভেবে দেখা হচ্ছে। অরাজনৈতিক কোনও ব্যক্তিকেও দু’দল সমর্থন করতে পারে। সে ক্ষেত্রে দু’দলের ভোট যোগ হলে ওই আসনগুলিতে বিজেপির হার নিশ্চিত বলেই কংগ্রেস ও আপ নেতাদের দাবি।
সরকারি ভাবে আপ গত কালই জানিয়ে দিয়েছে, আসন সমঝোতা ভেস্তে গিয়েছে। দিল্লির সাতটি লোকসভা আসনেই আপ প্রার্থী দেবে। কিন্তু দু’দলের নেতারাই মনে করছেন, রাহুল গাঁধী ও অরবিন্দ কেজরীবাল নিজেদের মধ্যে কথা বললে বোঝাপড়া হতে পারে। শত্রুঘ্নকে উত্তর-পশ্চিম দিল্লি লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করার ভাবনা রয়েছে। কারণ, সেখানে বিহার ও পূর্ব-উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলীয়রাই নির্ধারক শক্তি। কিন্তু আপ ওই কেন্দ্রের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আগেই এক জনের নাম ঘোষণা করে দিয়েছে।
তা সত্ত্বেও বোঝাপড়ার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার মূল কারণ হল ভোটের অঙ্ক। ২০১৪-তে মোদী ঝড়ে বিজেপি দিল্লির সাতটি আসনই জিতেছিল। কিন্তু ছ’টিতেই আপ ও কংগ্রেসের ভোট যোগ হলে বিজেপি হেরে যেত। এ বার আপ দিল্লিতে কংগ্রেসকে ৩টি আসন ছাড়তে রাজি হলেও, পঞ্জাবে ১৩টি-র মধ্যে ৫টি আসন চায়। ইতিমধ্যে প্রার্থী ঘোষণাও হয়ে গিয়েছে। আপ গত লোকসভা ভোটে পঞ্জাবে ৪টি আসন জিতেছিল। কিন্তু পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী, কংগ্রেসের ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ তাতে রাজি হননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy