লাভজনক পদ বিতর্কে এ বার বিধায়কদের গদি বাঁচাতে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন আম আদমি পার্টি নেতৃত্ব। দল জানিয়েছে, একতরফা বিচারের প্রহসন রুখতে আগামী সপ্তাহেই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার সময় চাইবে দল। বিষয়টি নিয়ে গত কালই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে আপ শিবির। সোমবার ওই মামলার শুনানি হবে।
গত দেড় বছর ধরেই লাভজনক পদ বিতর্কে খাঁড়া ঝুলছিল আপের ২০ বিধায়কের উপর। সূত্রের খবর, গত কাল নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতির কাছে এ সংক্রান্ত যে চিঠি পাঠিয়েছে, তাতে ওই বিধায়কদের বরখাস্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ওই সুপারিশ মেনে নিলে ‘মিনি বিধানসভা নির্বাচন’ হতে পারে ধরে নিয়ে ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি- কংগ্রেস দুই দলই।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় আপের রণকৌশল কী হবে, তা ঠিক করতে আজ সকাল থেকেই দফায় দফায় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের বাড়িতে বৈঠকে বসেন দলের বিধায়কেরা। বৈঠক শেষে উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া বলেন, ‘‘বেতন হিসেবে এক টাকাও বাড়তি নেননি ওই কুড়ি জন। কোনও ফায়দাও নেননি তাঁরা। মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে বিধায়কদের বিরুদ্ধে। এমনকী, শুনানি চলাকালীন নির্বাচন কমিশনের সামনে আত্মপক্ষ সমর্থনে আপ বিধায়কদের বক্তব্য রাখারও সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাই আমরা নিজেদের বক্তব্য রাখার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে যাব।’’
গত কালের মতোই আজও দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ শানিয়েছেন আপ নেতৃত্ব। নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকা কালে সে রাজ্যের মুখ্যসচিব ছিলেন বর্তমান নির্বাচন কমিশনার এ কে জ্যোতি। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে আপ নেতা গোপাল রাইয়ের অভিযোগ, ‘‘মোদীর খুব কাছের লোক হলেন জ্যোতি। প্রধানমন্ত্রীর ইশারাতেই তিনি আপের বিরুদ্ধে ওই রায় দিয়েছেন।’’
আপ শিবিরের অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচন জিতেও দিল্লিতে হারের যন্ত্রণা ভুলতে পারছেন না মোদী, অমিত শাহরা। তাই যেন-তেন ভাবে আপ সরকারকে ফেলতে তৎপর রয়েছে বিজেপি। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপি শিবির আজ ফের নৈতিক দায় স্বীকার করে মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবালের ইস্তফার দাবিতে সরব হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy