ছবি: পিটিআই।
নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনী বিল নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু ফল হয়নি তাতে। এ বার তাই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিতর্কে অংশ নেওয়ার জন্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ল আসু।
শুয়ালকুচিতে আজ শিল্পী সমাজ ও আসুর প্রতিবাদী সমাবেশ হয়। আসু-র উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য সেখানে বলেন, “অমিত শাহ জানাচ্ছেন, অসমে নাকি আন্দোলন দেখতেই পাননি! আমরা অহিংস আন্দোলন করছি বলেই কি তাঁর চোখে পড়ছে না? তিনি হিংসায় প্ররোচনা দিচ্ছেন। কিন্তু আমরা ফাঁদে পা দেব না। লাগাতার গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলবে।” অর্থমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা তাঁকে বিতর্কে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব আগেই খারিজ করেছে আসু। এ ব্যাপারে সমুজ্জ্বল আজ বলেন, ‘‘দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে আলোচনার সময় হিমন্তবিশ্ব ও মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন। সেখানে আমরা স্পষ্ট বুঝিয়েছি কেন অসমে সিএএ চলবে না। ওঁদের কাছে কোনও জবাব ছিল না। এখন ফের বিতর্কে বসতে হলে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি বিতর্কে বসতে প্রস্তুত।’’
যেখানেই আসু প্রতিবাদ সভা করছে, সেখানেই শান্তি মিছিল করছে রাজ্য বিজেপি। আসু নেতাদের বক্তব্য, জোর করে শান্তি মিছিল করে মানুষের মনের অশান্তি চাপা দিতে পারবে না। পারলে দিল্লি গিয়ে সিএএ বাতিল করে দেখাক। তা না করে রাজ্য সরকার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জন্য বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে চলেছে। চলছে একের পর এক ঘোষণা। সমুজ্জ্বল বলেন, ‘‘বিজেপি দান-দণ্ড-ভেদ অর্থাৎ প্রলোভন, দমন ও বিভাজন—এই তিন পথে আন্দোলন রুখতে চাইছে। হিন্দু-মুসলিম, অসমীয়-বাঙালি বিভাজন
তৈরির চেষ্টা করছে। এই আন্দোলন বাঙালি বা মুসলিমের বিরুদ্ধে নয়, অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে। সিএএ নয়, অসমে আমরা ইনারলাইন পারমিট, ভূমিপুত্রদের জন্য সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ, বিধায়ক-সাংসদ পদে ১০০ শতাংশ সংরক্ষণ, জমির সুরক্ষা চাই।’’
ছাত্রদের ক্ষতি করার অভিযোগ খণ্ডনে আসুর যুক্তি, আন্দোলনের মধ্যেই পরীক্ষায় ভাল করাটা ছাত্র আন্দোলনের অংশ। গুয়াহাটি, ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রেরা ‘সিএএ মানি না’ লেখা কালো ব্যাজ পরে পরীক্ষা দিচ্ছেন। যোরহাটে এ দিন প্রতিবাদসভা করে এজেওয়াইসিপি। সোনারিতে হয় অনশন। শিবসাগরে জনজাগরণ যাত্রা। রঙিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী ও তেজপুরে হিমন্তকে কালো পতাকা দেখায় আসু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy