অন্তিম কাজের জন্য রামেশ্বরমে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত এ পি জে আব্দুল কালামের দেহ। বুধবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।
বিজ্ঞানী হিসেবে আদৌ অসাধারণ নন তিনি। সারা জীবনে উল্লেখযোগ্য কোনও কাজও তেমন করেননি। ভারতের একাদশতম রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালাম সম্পর্কে এই কথা বলে বিতর্কে জড়ালেন পাকিস্তানের পরমাণু বিজ্ঞানী আব্দুল কাদের খান।
কালামের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ বলেছেন, ‘‘ভারত তার এক রত্নকে হারাল।’’ কালামের প্রতি শ্রদ্ধাবার্তায় ফেসবুক থেকে টুইটার, এখন সব সোশ্যাল মিডিয়াই ভরে উঠেছে। কিন্তু, আব্দুল কাদের খান মোটেই কালামকে খুব একটা নম্বর দিতে রাজি নন। বিজ্ঞানী হিসেবে কালামের তেমন কৃতিত্ব নেই বলেই দাবি খানের।
পাকিস্তানের পরমাণু প্রকল্পের জনক বলা হয় আব্দুল কাদের খানকে। ২০০৪-এর জানুয়ারির আগে অবধি পাকিস্তানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক প্রকল্পেই যুক্ত থাকতেন তিনি। তবে ২০০৪-এ খানের বিরুদ্ধে অন্য দেশে পরমাণু অস্ত্র সংক্রান্ত গোপন তথ্য পাচারের অভিযোগ ওঠে। তার ভিত্তিতেই তাঁকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। যদিও ২০০৯-এ ইসলামাবাদ হাইকোর্ট মুক্তি দেয় খানকে। কিন্তু হাইকোর্টের এই নির্দেশে খুশি ছিল না তৎকালীন মার্কিন প্রশাসন। তাই কালাম জনপ্রিয়তার যে শীর্ষস্তরে পৌঁছতে পেরেছিলেন, তা আদৌ পারেননি খান। এ প্রসঙ্গেই অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, সেই ক্ষোভ থেকেই কি খানের এমন প্রতিক্রিয়া?
এ দেশে কালামকে ‘মিসাইল ম্যান’-এর শিরোনাম দেওয়া হলেও, সাক্ষাৎকারে খানের দাবি, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্প পুরোটাই রাশিয়ার সাহায্যে হয়েছে। কালামের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি সেখানে ছাপ ফেলেনি বলেই তাঁর মত। তিনি বলেছেন, ‘‘কালাম খুবই সাধারণ মানের এক জন বি়জ্ঞানী ছিলেন।’’ কালামের উল্লেখযোগ্য কোনও কৃত্বিত্বই কাদের খানের স্মৃতিতে নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy