কলেজছাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণে অভিযুক্তকে ১৩ দিনেও ধরতে পারেনি পুলিশ। প্রতিবাদে আজ অনশনে বসেন এবিভিপি-র জয়পুর ও পয়লাপুল ইউনিটের সদস্যরা। লক্ষ্মীপুর মহকুমা প্রশাসনের আশ্বাসে বিকেলে অনশন প্রত্যাহৃত হয়।
ঘটনাটি ২৬ অগস্টের। লক্ষ্মীপুর মহকুমার নেহরু কলেজ থেকে বাসে বাড়ি ফিরছিলেন ছাত্রীরা। অভিযোগ, তিন যুবক তাঁদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করে। অভিযোগ, প্রতিবাদ করলে চলন্ত বাসে ছাত্রীদের আক্রমণ করা হয়। ঘুষিতে এক ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে যান। শুরু হয় হইচই। মোবাইলে খবর পৌঁছে যায় পরের স্টপেজ জয়পুরে। কিন্তু বাস থামার আগেই দুই অভিযুক্ত লাফিয়ে পালায়। জুবের আহমেদ লস্কর নামে একজন ধরা পড়ে যায়। উত্তমমধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাকে। ওই তরুণী পরে তিন যুবককে অভিযুক্ত করে জয়পুর থানায় মামলা করেন।
সহপাঠীর সঙ্গে অশালীন আচরণের খবরে পর দিন নেহরু কলেজের ছাত্ররা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ক্লাস বয়কট করে সবাই রাস্তা অবরোধ করেন। নেতৃত্ব দেয় এবিভিপির জয়পুর ও পয়লাপুল ইউনিট।
লক্ষ্মীপুরের সার্কেল অফিসার প্রদীপকুমার গুপ্তা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। সাত দিনের মধ্যে দু’জনকে ধরা হবে, তাঁর এমন আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। পরে শাহদুল লস্কর নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু তৃতীয় অভিযুক্ত মুন্না লস্করকে আজও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পুলিশের বিরুদ্ধে দায়সারা মনোভাবের অভিযোগ করে এবিভিপি এ দিন আমরণ অনশনে বসে। ছাত্র সংগঠনটির জয়পুর ইউনিটের সম্পাদক শুভ্রজিৎ আচার্য ও পয়লাপুল ইউনিটের সভাপতি পীযূষ শুক্লবৈদ্যের নেতৃত্বে জনাপনেরো কলেজছাত্র সকালে অনশন শুরু করেন। বিকেলে সেখানে যান ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াজুল ইসলাম। তিনি আরও দু’দিন সময় চেয়ে নিয়ে অনশন প্রত্যাহার করান।
শুভ্রজিৎ ও পীযূষ জানিয়েছেন, দু’দিনের মধ্যে মুন্নাকে গ্রেফতারে ব্যর্থ হলে তাঁরা জেলাজুড়ে আন্দোলনে নামবেন। তাঁরা জানান, ছাত্রীদের বাসে স্কুল-কলেজে যাতায়াত করতে হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তি না হলে নিরাপত্তাহীনতা বাড়বে তাদের। একে সভ্যসমাজের প্রতি এক ধরনের চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy