Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

অধ্যাপকের মুখে কালি দিল এবিভিপি

গুজরাতের কচ্ছ জেলায় অধ্যাপক নিগ্রহের ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার।

গুজরাতের ক্রান্তিগুরু শ্যামজি কৃষ্ণ বর্মা কচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

গুজরাতের ক্রান্তিগুরু শ্যামজি কৃষ্ণ বর্মা কচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
রাজকোট শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০১৮ ০৫:৩১
Share: Save:

সেনেট নির্বাচন ঘিরে ঝামেলার সূত্রপাত। তার জেরেই গুজরাতের ক্রান্তিগুরু শ্যামজি কৃষ্ণ বর্মা কচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের মুখে কালি লেপে দেওয়ার অভিযোগ উঠল আরএসএস-এর ছাত্র শাখা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-এর সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

গুজরাতের কচ্ছ জেলায় অধ্যাপক নিগ্রহের ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার। নিগৃহীত অধ্যাপকের নাম গিরিন বক্সী। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য চন্দ্রসিন জাদেজা জানিয়েছেন, রসায়নের অধ্যাপক গিরিন ক্লাস নিচ্ছিলেন। সেই সময়েই হামলা চালায় এবিভিপি-র কর্মী-সমর্থকেরা। ক্লাসে ঢুকে তারা টেনে বের করে আনে গিরিনকে। তার পরে তাঁর মুখে কালি মাখিয়ে দেওয়া হয়। সেই অবস্থায় অধ্যাপককে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় রেজিস্ট্রারের ঘর পর্যন্ত। অভিযোগ, রেজিস্ট্রারের দশাও একই রকম হবে বলে হুমকি দেয় এবিভিপি-র সমর্থকেরা। উপাচার্যকেও ঘণ্টাখানেক ঘেরাও করে রাখে হামলাকারীরা।

কালিতে থাকা রাসায়নিকের জন্য গিরিনের ত্বকে সমস্যা দেখা দেয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অধ্যাপকের অবস্থা স্থিতিশীল।

আরও পড়ুন: কথা বলার অধিকারটুকুও নেই কোচাংয়ের মহিলাদের

এই ঘটনার পরে পুলিশে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা এবিভিপির সঙ্গে যুক্ত। ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, আগামী ২২ জুলাই সেনেট নির্বাচন। তার ভোটার তালিকা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল গিরিনকে। এবিভিপি-র অভিযোগ, নির্বাচনের জন্য তাদের সংগঠনের সমর্থকরা যে সব ফর্ম জমা দিয়েছেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তার মধ্যে কিছু ফর্ম বাতিল করে দিয়েছেন গিরিন। কিন্তু জাদেজা জানিয়েছেন, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। নিয়ম অনুযায়ী ওই ফর্মগুলি বাতিল করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠক হওয়ারও কথা ছিল। ইনস্পেক্টর বিক্রম কোঠিয়া জানিয়েছেন, এর আগেই এভিবিপি-র সমর্থকরা গিরিনের ক্লাসে ঢুকে ফর্ম খারিজ করার জন্য কৈফিয়ৎ চায়। অধ্যাপক তাদের বাইরে অপেক্ষা করতে বলে জানান, বিষয়টি নিয়ে সন্ধেবেলায় বৈঠক আছে। কিন্তু এবিভিপি সমর্থকেরা সে সবে কান না দিয়ে অধ্যাপককে হেনস্থা করে।

উপাচার্য জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি এগ্‌জিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে অধ্যাপক নিগ্রহের কড়া নিন্দা করা হয়েছে। সর্বসম্মত ভাবে ঘটনার নিন্দা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE