অ্যাস্ট্রোস্যাট। ছবি: ইসরোর সৌজন্যে।
১. আলোর বর্ণালীর অন্তত ৫টি এলাকা বা, ‘ব্যান্ড’-এ মহাজাগতিক বস্তুর উপর নজর রাখতে পারবে অ্যাস্ট্রোস্যাট। সেই ‘ব্যান্ড’গুলি হল-দৃশ্যমান আলো, কাছের অতিবেগুনি রশ্মি, দূরের অতিবেগুনি রশ্মি, কাছের এক্স-রে ও দূরের এক্স-রে।
২. বিভিন্ন ক্ষমতার এক্স-রে নিয়ে গবেষণা। ০.৫ কিলো ইলেকট্রন-ভোল্ট থেকে ১০০ কিলো ইলেকট্রন-ভোল্ট পর্যন্ত ক্ষমতার ‘ব্যান্ডে’ যতগুলি তরঙ্গ-দৈর্ঘ্যের এক্স-রে রয়েছে, তার সবকটির উপর নজরদারি।
৩. বহু দূরের এক্স-রে’র বিভিন্ন তরঙ্গ-দৈর্ঘ্যের একটি বিশাল এলাকা জুড়ে গবেষণা। এখনও পর্যন্ত বহু দূরের এক্স-রে’র এত বড় এলাকার উপর নজরদারি চালানো হয়নি।
৪. ৩৮ সেন্টিমিটার ‘অ্যাপারচারে’র দু’টি অত্যন্ত শক্তিশালী টেলিস্কোপ। এর একটি নজর রাখবে দৃশ্যমান আলো ও কাছের অতিবেগুনি রশ্মির উপর। অন্যটি নজরদারি চালাবে ‘ফোটন’ কণা ও দূরের অতিবেগুনি রশ্মির উপর।
৫. ব্রহ্মান্ডে নতুন নতুন কৃষ্ণ গহ্বর ও দুই নক্ষত্রের সৌরমন্ডল (বাইনারি স্টার-সিস্টেম) খুঁজে দেখবে অ্যাস্ট্রোস্যাট।
৬. নতুন নতুন ‘কোয়াসার’ ও ‘পালসার’-এর সন্ধান। তাদের গতিপথ জানা ও তাদের আবর্তন-চক্রকে বুঝতে চেষ্টা করবে অ্যাস্ট্রোস্যাট।
৭. মাপবে নিউট্রন নক্ষত্রের চৌম্বক ক্ষেত্র।
৮. সন্ধান করবে নতুন নতুন গ্যালাক্সি ও গ্যালাক্সি-ক্লাস্টারের।
৯. কোন কোন গ্যালাক্সি বা, গ্যালাক্সি-ক্লাস্টারে প্রচুর পরিমাণে নতুন নতুন নক্ষত্র জন্মাচ্ছে, তা জানারও চেষ্টা চালাবে অ্যাস্ট্রোস্যাট।
১০. ‘কোয়াসার’ আর ‘পালসার’গুলি কী ভাবে নিজেদের বদলে চলেছে, তা জানার চেষ্টাও থাকবে অ্যাস্ট্রোস্যাটের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy