সোমবার থেকে নিখোঁজ এএন-৩২ বিমানটি। —ফাইল চিত্র।
অন্য সময়ে তাদের দেখলেই পাকড়াও করে পুলিশ-প্রশাসন। কিন্তু নিখোঁজ এএন-৩২ বিমান উদ্ধারে ব্যর্থ হয়েছে বায়ুসেনা, নৌসেনা ও সেনার উন্নত বিমান ও হেলিকপ্টার। তাই অরুণাচলের সি ইয়োমি জেলার পাহাড়-জঙ্গলে হারিয়ে যাওয়া বিমানের খোঁজে সেই শিকারিদেরই শরণাপন্ন হল প্রশাসন। মোলে গ্রামের কাছে পাহাড়ের মাথায় সোমবার দুপুরে ঘন কালো ধোঁয়া দেখা গিয়েছে বলে জানান স্থানীয় গ্রামবাসীরা। সেই দুর্গম এলাকায় তল্লাশি চালাতে রওনা হয়েছে শিকারিদের দল।
সোমবার ১৩ জন আরোহীকে নিয়ে এএন-৩২ বিমানটি বেলা ১টা নাগাদ সিয়াং ও সি ইয়োমি জেলার আকাশ থেকে হারিয়ে যায়। বায়ুসেনার সুখোই ৩০ এমকেআই, সি-১৩০জে, এমআই-১৭ কপ্টার, এএন-৩২, সেনাবাহিনীর ধ্রুব কপ্টার, নৌসেনার পি৮আই বিমান গত তিন দিন ধরে সিয়াং, পশ্চিম সিয়াং, নমনি সিয়াং ও সি ইয়োমি জেলার আকাশে নাগাড়ে চক্কর কেটেও বিমান বা ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পায়নি। সুখোইয়ের সাহায্যে রাতেও চলেছে তল্লাশি।
গত কাল সি ইয়োমির তুমবিন গ্রামের কয়েক জন বাসিন্দা দাবি করেন সোমবার মোলোর কাছে বায়োর পাহাড়ের চূড়ায় কালো ধোঁয়া দেখেছেন। সেই সূত্রের উপরে ভরসা করেই স্থলপথে তল্লাশি চালানোর সিদ্ধান্ত হয়। জেলাশাসক রাজীব টাকুট জানান, মেচুকাগামী বিমানগুলি সাধারণত বায়োর হিলের উপর দিয়েই যায়। আবহাওয়া খারাপ থাকলে সিয়াম নদীর উপরের রাস্তা নেওয়া হয়। স্থানীয় শিকারিরা ছাড়া ওই সব জঙ্গলে তল্লাশি চালানো অসম্ভব। তাই শিকারিদের তিনটি দল ভাগ হয়ে বায়র আদি পাহাড়, পারি আদি পাহাড় ও সিবির-ভিরগং পাহাড়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর জানায়, ইতিমধ্যে বায়র পাহাড়ের দলটি জানিয়েছে সেখানে বিমানে সন্ধান মেলেনি। আগামী কাল সকালের মধ্যে অন্য দুই পাহাড় থেকেও খবর আসবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy