গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
মোট নম্বর ৩৫। পড়ুয়ার মার্কশিটে প্রাপ্ত নম্বরের জায়গায় জ্বলজ্বল করছে ৩৮। আবার অঙ্কের অবজেকটিভ প্রশ্নে ৩৫-এ ৪০ পেয়েছেন অন্য দু’জন পড়ুয়া। জীববিদ্যার পরীক্ষাতে না বসেও তাতে ১৮ নম্বর পেয়েছে আরও এক পরীক্ষার্থী। ‘অল ক্রেডিট গোজ টু বিহার বোর্ড’।
দ্বাদশ শ্রেণির ‘অদ্ভুতুড়ে’ এই ফলাফলে আবারও বিভ্রান্তি ছড়াল পড়ুয়াদের মধ্যে। দু’বছর আগে বিহার স্কুল এগ্জামিনেশন বোর্ড-এর পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলপ্রকাশের পর টিভি সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন বিষয়ের প্রশ্নের ‘আজব’ জবাব দিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছিলেন বৈশালী জেলার ভগবানপুরের বিষুণ রায় কলেজের ছাত্রী রুবি।
আরও খবর:
কঠিন অসুখ আর চরম দারিদ্রকে হারিয়ে ৭০% বাঁকুড়ার আশিসের
ফার্স্ট বয়ের দিনে পড়াশোনা, রাত জেগে নাটকের মহড়া আর গান
আরওয়াল জেলা থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় বসেছিলেন ভীম কুমার নামে এক পড়ুয়া। তাঁর কথায়, ‘‘অঙ্কে মোট নম্বর ৩৫। আমি পেয়েছি ৩৮। অন্য দিকে, অবজেকটিভ প্রশ্নে ৩৫-এ ৩৭ পেয়েছি।’’ তবে মার্কশিট হাতে পেয়ে যে একটুও অবাক হননি, তা জানান কুমার। বলেই ফেলেছেন, ‘অ্যায়সাই হোতা হ্যায় বিহার বোর্ড মে।’
পূর্ব চম্পারণ জেলা থেকে উচ্চমাধ্যমিকে বসেছিলেন সন্দীপ রাজ। পদার্থবিদ্যায় ৩৫-এ ৩৮ পেয়েছেন তিনি। অন্য দিকে রাষ্ট্রভাষা ও ইংরেজিতে অবজেকটিভ প্রশ্নে বিলকুল গোল্লা জুটেছে তাঁর কপালে।
বৈশালির জাহ্নবী সিংহ অসুস্থতার কারণে জীববিদ্যা পরীক্ষায় বসতেই পারেননি। তবে মার্কশিটে ‘বায়োলজি পেপার’-এ নম্বরের জায়গায় ১৮ লেখা রয়েছে। একই কাণ্ড ঘটেছে পটনার রামকৃষ্ণ দ্বারিকা কলেজের সত্য কুমারের ক্ষেত্রে। পরীক্ষা না দিয়েও একটি বিষয়ে নম্বর পেয়েছেন। তবে যে পরীক্ষা ভাল দিয়েছিলেন, তাতে কোনও নম্বর জোটেনি। যদিও বিহার বোর্ডের তরফে এই বিষয়ে কোনও বক্তব্য মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy