Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

পুরওয়ার্ড পুনর্বিন্যাস নিয়ে বিক্ষোভ

শাসক দলের রাজনৈতিক স্বার্থকে মাথায় রেখেই আগরতলা পুরসভা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভা ও নগর পঞ্চায়েতের ওয়ার্ডগুলির পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, ১৯৯৪ সালের ত্রিপুরা মিউনিসিপ্যাল অ্যাক্ট-কে পাশ কাটিয়েই রাজ্য সরকার এ কাজ করছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আগরতলা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৫ ০২:৩৭
Share: Save:

শাসক দলের রাজনৈতিক স্বার্থকে মাথায় রেখেই আগরতলা পুরসভা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভা ও নগর পঞ্চায়েতের ওয়ার্ডগুলির পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, ১৯৯৪ সালের ত্রিপুরা মিউনিসিপ্যাল অ্যাক্ট-কে পাশ কাটিয়েই রাজ্য সরকার এ কাজ করছে। পুর ওয়ার্ডগুলির এই ‘পুনর্বিন্যাস’ নিয়ে রাজ্য সরকারের উদ্যোগের বিরুদ্ধে আজ দুপুরে এক প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।

উল্লেখ্য, আগামী কয়েক মাস পরেই আগরতলা পুরসভা এবং রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভা এবং নগর পঞ্চায়েতগুলির নির্বাচন। নির্বাচনের আগে রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতর ২০১১ সালের জনগণনার ভিত্তিতে ওয়ার্ডগুলির সীমানা ‘পুনর্বিন্যাস’ করতে উদ্যোগী হয়েছে। ৩১ জুলাই পুনর্বিন্যাসের ‘খসড়া’ তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। এর পরেই ‘পুনর্বিন্যাস’ তালিকা সম্পূর্ণ ‘ত্রুটিপূর্ণ এবং বেআইনি’ বলে বিরোধী দলের তরফে অভিযোগ উঠেছে।

আজ কংগ্রেসের বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত্‌ সিনহা, বিরোধী দলনেতা সুদীপ রায়বর্মণ, বিধায়ক আশিস সাহা-সহ দলীয় বিধায়করা। তাঁরা পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক মিলিন্দ রামটেকের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার ওয়ার্ড ‘পুনর্বিন্যাস’ নিয়ে তাঁদের আপত্তির কথা জানান। পাশাপাশি, ‘পুনর্বিন্যাস’ করতে গিয়ে খসড়া তালিকায় যে যে অসঙ্গতি ধরা পড়েছে, তা দূর করার দাবি জানিয়ে জেলাশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দেন। পাশাপাশি, রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছেও একটি চিঠি দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

ward distribution Agitation congress agartala
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE