বাইরের অটোরিকশাগুলিকে শিলচর শহরে ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘিরে আজ দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান অটোমালিক ও চালকরা। জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়েছে অল কাছাড় আঞ্চলিক অটোরিকশা ওনার অ্যাসোসিয়েশন এবং শিলচর টাউন অটোরিকশা ইউনিয়ন। অন্য দুই ইউনিয়ন, শিলচর অটোমালিক সংস্থা এবং পিএমজিআরওয়াই অটোমালিক সংস্থা বুধবার শিলচরে অটোর চাকা বন্ধের ডাক দিয়েছে। এরপরও প্রশাসন সিদ্ধান্ত না বদলালে ২১ সেপ্টেম্বর জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে পেটে গামছা বেঁধে বিক্ষোভ দেখাবেন। শহরে অটোর চলাচল নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক অ্যাডভাইজরি বোর্ড এ মাসেই সিদ্ধান্ত নেয়। রংপুর, তারাপুর ইঅ্যান্ডডি কলোনি, ডিআইসি অফিস এবং শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে শহর-সীমা হিসেবে স্থির করা হয়। বাইরের কোনও অটো ওই সীমার ভেতরে ঢুকতে পারবে না। আগামী কাল থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা।
ট্রাফিক অ্যাডভাইজরি বোর্ডের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর থেকেই অটোরিকশার মালিক ও চালকরা প্রতিবাদ করছেন। এ দিন পৃথক ভাবে মিছিল বের করে অল কাছাড় আঞ্চলিক অটোরিকশা ওনার অ্যাসোসিয়েশন এবং শিলচর টাউন অটোরিকশা ইউনিয়ন। প্রথম সংস্থাটির দাবি, শহর-সীমা প্রত্যাহার করতে হবে। দ্বিতীয় সংস্থার সদস্যরা শিলচর শহরেরই অটোচালক। তাঁদের বক্তব্য, শহরের পারমিট মিলছিল না বলে তারা উধারবন্দের পারমিট নেন। ১৬ কিলোমিটার চলাচলের অনুমতি থাকায় শহরে ঢুকতে সমস্যা হয়নি। এখন উধারবন্দের অটো বলে শহরে ঢুকতে না দিলে তাদের জীবন-জীবিকা সঙ্কটের মুখে পড়বে। তাঁরা ১৬ কিলোমিটার পর্যন্ত অটোর জন্য শহরের সীমা নির্ধারণ করতে আর্জি জানান। অটোচালকদের সমস্যা নিয়ে গত কাল জেলাশাসকের সঙ্গে শিলচরের সাংসদ সুস্মিতা দেবও কথা বলেন। জেলাশাসক তাঁকে জানিয়েছেন, শীঘ্র তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে বৈঠকে বসবেন। ডাকা হবে শহরের বিশিষ্ট নাগরিকদেরও। আজ অটোরিকশার চালক-মালিকদেরও একই কথা শোনান জেলাশাসক। তবে কি কাল থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হচ্ছে না? জেলা পরিবহণ অফিসার অংশুমান বিশ্বাস জানান, পরের বৈঠকের সিদ্ধান্ত বৈঠকের পর কার্যকর হবে। আগের বৈঠকের সিদ্ধান্ত কাল থেকেই কার্যকর হবে। ট্রাফিক থানার ইনচার্জ কমলেশ সিংহ বলেন, ‘‘নতুন কোনও নির্দেশ এখনও পৌঁছায়নি। আগামী কাল থেকে শহর-সীমায় বাইরের অটো আটকে দিতে আমরা প্রস্তুত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy