পৃথক রাজ্যের দাবিতে প্রতি মাসের প্রথম কর্মদিবসে অনশন করছে পৃথক রাজ্য দাবি কমিটি। অভিযোগ, ছ’মাসে সরকারি তরফে কোনও সাড়া মেলেনি। উল্টে বরাকবাসীর কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে এনআরসি-র বোঝা। প্রতিবাদে এ বার তিন দিনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন ওই কমিটি। ১ জুলাই যথারীতি পৃথক রাজ্যের দাবিতে ক্ষুদিরামের মূর্তির পাদদেশে অনশন পালন করা হবে। পরে জেলাশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে স্মারকপত্র পাঠাবেন কমিটির সদস্যরা। ২ ও ৩ জুলাই একই জায়গায় তাঁরা ধর্নায় বসবেন। এনআরসি নিয়ে জনমত গঠন করবেন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির উদ্দেশেও স্মারকপত্র পাঠাবেন। পৃথক রাজ্য দাবি কমিটির কর্মকর্তা শুভদীপ দত্ত, হারান দে ও অতীন দাশ প্রশ্ন তোলেন, জাতীয় নাগরিক পঞ্জি তৈরিই যদি মূল উদ্দেশ্য হয়, তবে অসমের জন্য পৃথক ব্যবস্থা কেন? এ ব্যাপারে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চাইবেন। তাঁকে আর্জি জানাবেন— আইনি প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করতে হয়। কিন্তু তাঁদের দিল্লি গিয়ে রিট পিটিশন পেশ করার মতো সামর্থ্য নেই। তাই সাংবিধানিক কাঠামো মেনে প্রধান বিচারপতিই যেন এনআরসি বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন। তাঁদের কথায়, ‘‘বিশ্বজুড়ে ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার সুনাম রয়েছে। নাগরিক পঞ্জি নিয়ে সঙ্কটের সময় একমাত্র আদালতই বরাকবাসীকে সমাধান দিতে পারে।’’ যে যুক্তিতে অসমের জন্য পৃথক ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে, তাকেও বেআইনি বলে উল্লেখ করেন শুভদীপবাবুরা। তাঁদের যুক্তি, বিদেশি শনাক্তকরণ ও নাগরিক পঞ্জিকে একসঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। নাগরিক পঞ্জির কাজকে জটিল করে তোলাও যুক্তিহীন। অসমে বিদেশি শনাক্তকরণ প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ অমানবিক নীতি বলে উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, ‘‘এই কাজ ৩০ বছর ধরে চলছে। এখনও প্রশাসন তা শেষ করতে পারেনি। তাই বলে আজীবন বিদেশি সন্দেহে নাগরিকদের জটিলতার আবর্তে ঠেলে দেওয়া যায় না।’’ তাঁদের দাবি, সারা দেশের সঙ্গে একই নিয়ম মেনে নাগরিক পঞ্জি সংশোধন করা হোক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy