ক্রিশ্চিয়ান মিশেল
অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড চপার কেলেঙ্কারিতে ব্রিটিশ দালাল ক্রিশ্চিয়ান মিশেলের প্রত্যর্পণের বিষয় নিয়ে নাটকীয় পরিস্থিতি দিল্লিতে।
মঙ্গলবারই সংবাদমাধ্যমে খবর হয়, মিশেলকে ভারতে পাঠাতে রায় দিয়েছে দুবাইয়ের আদালত। আজ কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদও বলেন, ‘‘মিশেলকে হাতে পাওয়া খুবই ইতিবাচক ঘটনা। এতে দেশের কয়েক জন রাজনীতিকের অস্বস্তি বেড়ে যাবে।’’ তাঁর নিশানা ছিল, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মিশেলের আইনজীবী অমল আলসুবেই টেলিভিশনে জানান, তাঁর মক্কেল নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। আলসুবেই বলেন, ‘‘খুঁজে পাওয়া গেলে মিশেলকে গ্রেফতার করা হবে। তিনি হয়তো সুপ্রিম কোর্টেও আর্জি জানাতে পারেন।’’
এর কিছু পরে সংবাদ সংস্থা ফের জানাল, মিশেলকে ভারতে ফেরাতে আদালত রায় দেয়নি। সৌদি সরকার আদালতে প্রশ্ন করেছিল, কোনও ব্রিটিশ নাগরিককে তৃতীয় কোনও দেশে প্রত্যর্পণ করা যায় কিনা, আদালত তা নিয়েই বক্তব্য জানিয়েছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এখন বিষয়টি জানার জন্য সৌদিতে যোগাযোগ করছে। বুধবার সিবিআই সূত্রও জানিয়েছে, দুবাই থেকে সরকারি তথ্য মেলেনি। তবে আইনমন্ত্রী কী ভাবে প্রতিক্রিয়া জানালেন, সেটাই প্রশ্ন।
ভিভিআইপিদের জন্য চপার কিনতে ২০১০ সালে ব্রিটিশ সংস্থা অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি করেছিল ইউপিএ সরকার। তিন হাজার ছ’শো কোটি টাকার চুক্তিতে ১২টি হেলিকপ্টার কেনার কথা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৩-র শুরুতে অভিযোগ ওঠে, চুক্তিতে ঘুষের লেনদেন হয়েছে। নাম জড়ায় তৎকালীন বায়ুসেনা প্রধান এস পি ত্যাগীর। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি। পরে বিতর্কের মুখে চপার চুক্তি বাতিল করে মনমোহন সরকার। সিবিআই গ্রেফতার করে ত্যাগীকে। তদন্তে উঠে আসা তিন দালালের মধ্যে মিশেল এক জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy