মহারাষ্ট্রের দলীয় বিধায়কদের চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করছেন আহমেদ পটেল। ছবি: সংগৃহীত।
চ্যালেঞ্জ শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকেই নয়, চ্যালেঞ্জটা এসেছে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহর কাছ থেকেও। এমনটাই মনে করে কংগ্রেস। তাই বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের আগে মহারাষ্ট্রের দলীয় বিধায়কদের সঙ্ঘবদ্ধ থাকার আহ্বান জানালেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস বিধায়কদের কাছে এমনই বার্তা দিলেন দলের নেতা আহমেদ পটেল।
মহারাষ্ট্রের বিধায়কদের কাছে আহমেদের মন্তব্য, ‘‘চ্যালেঞ্জটা শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্যপালের কাছ থেকেই এসেছে, তা নয়। তা এসেছে, কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ করে (নরেন্দ্র) মোদী এবং অমিত শাহর থেকেও। ফলে তাঁদের পরাজিত করাটা খুব প্রয়োজন।’’ দলীয় বিধায়কদের কাছে তাঁর নির্দেশ, ‘‘যে পরিস্থিতিই হোক না কেন, আমাদের একত্র থাকতে হবে, মনোবল হারালে চলবে না।’’
শনিবার প্রকাশিত একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের দলীয় বিধায়কদের এ ভাবেই চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করছেন আহমেদ পটেল। আহমেদ ছাড়াও তাতে রয়েছেন মল্লিকার্জুন খড়্গে, সুশীলকুমার শিন্দে, কে সি বেনুগোপালের মতো দলের র্শীষ নেতা।
আরও পড়ুন: একে একে ফিরছেন বিধায়করা, ক্রমেই কি একা হয়ে পড়ছেন অজিত পওয়ার?
মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার লড়াইয়ে একেবারে শেষবেলায় মোক্ষম চালে বিজেপির দিকে খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তাতে বড় যোগদান ছিল নরেন্দ্র মোদীরও। মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের আগে তাই নিজেদের ঘর বাঁচাতে সতর্ক কংগ্রেস। যে ভাবে রাতারাতি ভোল বদলেছেন এনসিপির অজিত পওয়ার, তার পর নিজেদের বিধায়কদের একত্র রাখাটাই বড় চ্যালেঞ্জ কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে। বিধায়ক কেনাবেচার আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই কংগ্রেস তাদের ৪৪ জন বিধায়ককে মুম্বইয়ের অভিজাত হোটেলে নিয়ে তুলেছে। তাঁদের একত্র রাখতে সচেষ্ট কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: যেন কবাডি ম্যাচ! মহারাষ্ট্র পরিস্থিতি নিয়ে তীব্র কটাক্ষ আনন্দ মাহিন্দ্রার
ওই ভিডিয়োতে আহমেদ পটেলকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আমাদের একত্র থাকতে হবে, সঙ্ঘবদ্ধ থাকতে হবে। কোনও রকম দূর্বলতা দেখালে চলবে না। মনোবল অটুট রাখতে হবে। একত্র থাকতে হবে, কারণ বিজেপি আমাদের দিকে একটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে।’’ ৩০ নভেম্বর বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হতে পারে দেবেন্দ্র ফডণবীস সরকারকে। সে কথা মাথায় রেখে তাঁর মন্তব্য, ‘‘৩০ নভেম্বর আমরাই ফের জিতব। এটা খুবই প্রয়োজনীয়। এবং এটাই নিশ্চিত।’’
আরও পড়ুন: সংখ্যা নেই, ‘অবৈধ’ সরকারের পতন হবে, আত্মবিশ্বাসী বিরোধীরা।। মুখ পুড়েছে, দাবি বিজেপির
তবে আগামী ৩০ নভেম্বর বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত হয়নি। রাজ্যে সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোট। সেই আবেদনের শুনানি চলবে সোমবারও। তাতে জানা যেতে পারে, কবে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে দেবেন্দ্র ফডণবীস সরকারকে। তবে তার আগে নিজেদের বিধায়কদের সামলে রাখাই ব়ড় চ্যালেঞ্জ কংগ্রেসের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy