প্রতীকী ছবি।
নেশা ছিল নতুন নতুন মেয়েকে ফাঁদে ফেলা, তার পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া। সহজ উপায় হিসেবে তাই বেছেও নিয়েছিলেন পাত্র-পাত্রীর বিজ্ঞাপনকে। আর সেই বিজ্ঞাপনকে ফাঁদ হিসেবে কাজে লাগানো শুরু করলেন।
সেনার পোশাক পরে এক যুবক। প্রোফাইলে লেখা ‘আর্মি ম্যান’। দেখতেও সুন্দর। এমনই ছবি ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে দিয়ে পাত্রী চাই-এর বিজ্ঞাপন দিতেন তিনি। সেই প্রোফাইল দেখেই একের পর এক শিকার আসা শুরু হল।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রোফাইল দেখে আসা মহিলাদের সঙ্গে প্রথমে ভাব জমাতেন, তার পর ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতেন। সম্পর্ক একটু মাখো মাখো হলেই নানা কারণ দেখিয়ে টাকা চাইতেন। টাকা আদায় হয়ে গেলেই বেপাত্তা হয়ে যেতেন। এ ভাবে প্রতারণার জাল ধীরে ধীরে ছড়িয়ে ফেলেছিলেন দেশের প্রায় ২৫টি রাজ্যে। পাত্র-পাত্রীর বিজ্ঞাপনকে ফাঁদ হিসাবে কাজে লাগিয়ে ৫০ জন মহিলাকে এ ভাবে প্রতারিত করার অভিযোগ উঠেছে আমদাবাদের এক যুবকের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: গেরুয়া শিবির দেখল, ছাত্র সংসদ নির্বাচনে লালে লাল জেএনইউ
নাম জুলিয়ান সিংহ ওরফে সিদ্ধার্থ মেহরা। সেনাবাহিনীতে চাকরি করা তো দূরের কথা, স্কুলের গণ্ডিই পেরোতে পারেননি তিনি। কিন্তু প্রতারণা করার জন্য পাত্র-পাত্রীর বিজ্ঞাপনে লিখেছিলেন, তিনি এক জন আর্মি ম্যান।আর তাতেই কেল্লা ফতে। টপাটপ শিকার নাগালের মধ্যে চলে আসে। এ ভাবে প্রতারণার ফাঁদ পেতে ভালই কারবার চালাচ্ছিলেন সিদ্ধার্থ। কিন্তু এক মহিলা পুলিশের কাছে অভিযোগ করার পরেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।ওই মহিলা অভিযোগ করেন, বাড়ি কেনার অছিলায় তাঁর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেন সিদ্ধার্থ। টাকা হাতে পাওয়ার পরই মহিলার সঙ্গে সব রকম যোগাযোগ ছিন্ন করে দেন। তিনি যে প্রতারিত হয়েছেন বিষয়টা বুঝতেই সোজা পুলিশের কাছে যান। সিদ্ধার্থের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: বিমানে গিয়ে ডাকাতি, বিমানেই চম্পট, পুলিশের জালে অভিজাত গ্যাং
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy