জয়ার ভাইঝি দীপা।
ছিলেন প্রিয় বান্ধবী। আর আম্মার মৃত্যুর পরে এডিএমকে-র মুখ হয়ে ওঠার পথে অনেকটাই এগিয়ে গেলেন সেই শশিকলা। শনিবার টুইট করে শশিকলাকে আম্মার দেখানো পথে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন এডিএমকে-র প্রবীণ নেতারা। দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন জয়ললিতা। আজই দলের সংগঠন সচিব তথা মুখপাত্র সি পুন্নাইয়ান জানিয়েছেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন নিয়ে খুব শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেবেন।
আর এ দিনই শশিকলার বিরুদ্ধে এক রাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন জয়ার ভাইঝি দীপা। একটি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘জয়ার শেষকৃত্যে শশিকলা আমাকে থাকতে দেননি। আমি রাজনীতিতে এলে আমার জনপ্রিয়তা বেড়ে যাবে, শশিকলা সব সময় এই ভয় পান। আমার পিছনে জনসমর্থন রয়েছে। শশিকলাকে ভোটে জিতে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে।’’ দীপার এই কথার পরেই প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি রাজনীতিতে যোগ দিতে চলেছেন দীপা? সে প্রশ্নের অবশ্য উত্তর মেলেনি। এডিএমকে-র অন্য নেতাদেরও এক হাত নিয়েছেন দীপা। জয়ার ভাইঝির কথায়, ‘‘আমার সঙ্গে নেত্রীর খুবই ঘনিষ্ঠতা ছিল। কিন্তু এডিএমকে নেতারা আমাকে হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দেননি।’’ যার উত্তরে এডিএমকে নেতা সিআর সরস্বতীর দাবি, ‘‘জয়ললিতা কখনও দীপার ঘনিষ্ঠ ছিলেন না। এমনকী দীপার বিয়েতেও জয়া যাননি।’’ দু’পক্ষের এই চাপান-উতোরের মধ্যেই জয়ার রাজনৈতিক উত্তরাধিকার নিয়ে সংঘাতের বীজ লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
জয়ার পরে দলের রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে দেখা দিয়েছিল প্রশ্ন। এ দিনের টুইটের পরে আম্মার শূন্যস্থান পূরণে শশিকলার অবস্থান অনেকটাই শক্ত হল বলে মনে করছেন তামিল রাজনীতিকরা। পুন্নাইয়ানের কথাতেও মিলেছে সেই ইঙ্গিত। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পনীরসেলভমও শশিকে দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বলে বর্ণনা করেছেন বলে জানিয়েছেন পুন্নাইয়ান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy