প্রতীকী চিত্র।
‘কে নিবি কে নিবি’ করতে করতে কেটে গিয়েছে তিন-তিনটে বছর। শর্তে আটকে যাওয়ায় কেউ নেয়নি। এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রি করতে চেয়েও ক্রেতা পায়নি কেন্দ্র। মাঝখানে এক বার বিক্রির শর্ত বদল করেও লাভ হয়নি। তাই আবার শর্ত বদল করল কেন্দ্র।
বিমানমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে অনলাইন সাংবাদিক বৈঠকে জানান, গত মার্চে শর্ত ছিল, বাজারে এয়ার ইন্ডিয়ার ৬০ হাজার কোটি টাকার ঋণের মধ্যে ২৩ হাজার কোটির দায়ভার নিতে হবে ক্রেতা সংস্থাকে। সেই শর্ত বদলে এ বার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ক্রেতা সংস্থা ঠিক কতটা দেনার দায়দায়িত্ব নেবে, সেটা তারাই ঠিক করবে।
অতিমারির আবহে গত মার্চ থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার দেনার ভার আরও আট হাজার কোটি টাকা বেড়েছে বলে এ দিন জানান সংস্থার সিএমডি রাজীব বনসল। সব মিলিয়ে এখন ঋণের পরিমাণ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। বিমান মন্ত্রকের সচিব প্রদীপ খারোলা জানান, নতুন আরও একটি নিয়ম ঠিক হয়েছে। ক্রেতা যে-দামে এয়ার ইন্ডিয়া নিতে চাইবে, তার ন্যূনতম ১৫ শতাংশ নগদ দিতে হবে কেন্দ্রকে। বাকি ৮৫ শতাংশ টাকা চাইলে সেই ক্রেতা বাজার থেকে ধার করতে পারবে।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় আবার সক্রিয় উগ্রপন্থীরা
হরদীপ জানান, মন্ত্রিমণ্ডলীর সঙ্গে বৈঠক করে সংশ্লিষ্ট নির্দেশাবলি ঘোষণা করা হয়েছে। এই বিষয়ে প্রশ্ন থাকলে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত করা যাবে। সরকার উত্তর দেবে ১২ নভেম্বরের মধ্যে। তার পরে আরও ৩০ দিনের মধ্যে ইচ্ছাপত্র জমা দিতে হবে সম্ভাব্য ক্রেতাকে। “২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বিক্রির যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলা হবে,” বলেন বিমানমন্ত্রী।
এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রির কথা সরকার প্রথম ঘোষণা করে ২০১৭ সালে। তখন ঠিক হয়, ওই সংস্থার ৭৬% বিক্রি হলেও বাকি ২৪% থেকে যাবে সরকারি নিয়ন্ত্রণে। বিমানমন্ত্রীর বক্তব্য, এই সিদ্ধান্তে বিভ্রান্তি ছড়ায় এবং ক্রেতা পাওয়া যায়নি মূলত সেই জন্যই। গত ২৭ জানুয়ারি বিক্রির শর্ত পাল্টে জানানো হয়, এয়ার ইন্ডিয়া এবং তার সহযোগী সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ১০০ শতাংশই বিক্রি করে দেওয়া হবে। সঙ্গে বিক্রি হবে অন্য সহযোগী সংস্থা এআই স্যাটস-এর ৫০ শতাংশ শেয়ারও। এয়ার ইন্ডিয়ার হাতে এই মুহূর্তে ১২১টি বিমান রয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের কাছে রয়েছে আরও ২৪টি বিমান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy