ছবি: পিটিআই।
এয়ারসেল-ম্যাক্সিস কাণ্ডে আজ ফের ইডি-র দফতরে হাজিরা দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। এই মামলায় চিদম্বরমের ছেলের বিরুদ্ধে আগামী কালই চার্জশিট জমা করার কথা ইডি-র।
গত ৫ জুন এই মামলায় প্রথম বারের জন্য ইডি-র দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন চিদম্বরম। প্রায় ছ’ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। আজ সকাল এগারোটা নাগাদ ইডি দফতরে ঢোকেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আজও দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। সন্ধের পর দফতর থেকে বেরোন তিনি।
২০০৬ সালে এয়ারসেলে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার বিদেশি লগ্নি এসেছিল। বিদেশি লগ্নি উন্নয়ন পর্ষদই (এফআইপিবি) সেই লগ্নিতে ছাড়পত্র দেয়। কিন্তু সেই সময়ের নিয়ম অনুযায়ী, এফআইপিবি মাত্র ছ’শো কোটি টাকার বিদেশি লগ্নির ছাড়পত্র দিতে পারত। তার থেকে বেশি পরিমাণ বিদেশি লগ্নির জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আর্থিক বিষয়ক কমিটির ছাড়পত্র পেতে হত। এয়ারসেল যা সেই সময় নেয়নি বলে অভিযোগ। ইডি-র এক সূত্র জানাচ্ছে, আজ চিদম্বরমের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, সাড়ে তিন হাজার কোটির ওই লগ্নিতে কেন মন্ত্রিসভার কমিটির ছাড়পত্র নেওয়া হয়নি। কেন ই বা লগ্নিটি মাত্র একশো আশি কোটি টাকার দেখানো হয়েছিল।
চিদম্বরম আজ কী উত্তর দিয়েছেন, তা নিয়ে মুখ খোলেনি ইডি। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী গত বারের মতো আজও বেরিয়ে একটি টুইট করেন। যেখানে তিনি ফের অভিযোগ করেন, কোনও এফআইআর দায়ের না করেই তাঁকে একাধিক বার ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল। তবে ইডি আজ জানিয়েছে, এয়ারসেল ম্যাক্সিসে আর্থিক তছরুপ সংক্রান্ত অভিযোগ তারা নিয়ম মাফিকই দায়ের করেছিল। যা চ্যালেঞ্জ করেই আদালতে গিয়ে গ্রেফতারি এড়ানোর অনুমতি নেন চিদম্বরম। ৫ জুনই আদালত জানিয়েছিল, ১০ জুলাই পর্যন্ত এই মামলায় প্রাক্তন মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা যাবে না। ইডি-র প্রশ্ন, তখন তা হলে কিসের ভিত্তিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চিদম্বরম?
অনেকেই মনে করছেন, কাল কার্তির বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়লে চিদম্বরমকে প্যাঁচে ফেলা আরও সহজ হবে ইডি-র পক্ষে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy