অজিত ডোভাল।
উপত্যকার মানুষের মনে চরম ভীতি ও গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগের মুখে আজই ফের জম্মু-কাশ্মীরে পৌঁছলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের পরে এ নিয়ে দ্বিতীয় বার সেখানে পা রাখলেন তিনি। নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে প্রশাসন ও বাহিনীর শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ডোভাল। তবে জম্মু-কাশ্মীরে এ বার কত দিন তিনি থাকবেন, তা স্পষ্ট নয়।
এরই মধ্যে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ আজ অভিযোগ এনেছেন, কাশ্মীরে গণতন্ত্রের চিহ্নমাত্র নেই। মানুষকে চরম ভীতির মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র মেলার পরে কাশ্মীরে পা রাখতে পেরেছেন কংগ্রেস নেতা আজাদ। ছয় দিনের সফর শেষে আজ তিনি বলেন, ‘‘জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ ভীষণ ভাবে হতাশ। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ এবং জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করা নিয়ে বিজেপির ১০০-২০০ জন সমর্থক ছাড়া আর কেউই খুশি নন।’’ কাশ্মীর পরিস্থিতিকে ‘খুবই খারাপ’ আখ্যা দিয়ে আজাদের মন্তব্য, ‘‘দুনিয়ার কোথাও প্রশাসন এতটা অত্যাচার করছে বলে জানা নেই। কাশ্মীর থেকে গণতন্ত্র উধাও হয়ে গিয়েছে।’’ আজাদের মতে, মানুষ কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন। কেউ যদি জল কিংবা বিদ্যুতের জন্যও বিক্ষোভ দেখান, তাঁদের প্রশ্ন করা হচ্ছে— আপনি ভারতের কোন জেলে যেতে চান? কংগ্রেস নেতার আরও অভিযোগ, যে সব জায়গায় তিনি যেতে চেয়েছিলেন, তার ১০ শতাংশ এলাকাতেও পৌঁছতে পারেননি।আজাদের সুরেই আজ আটক থাকা জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির হয়ে তাঁর মেয়ে টুইটারে মোদী সরকারের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘‘কাশ্মীরের মানুষের যদি সত্যিই ঘুরে বেড়ানোর স্বাধীনতা থাকে, তা হলে আমার মা কিংবা অবৈধ ভাবে আটকে রাখা রাজনৈতিক কর্মীদের কেন ঘরে ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না?’’ তবে আজাদ ও মেহবুবার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়ত আজ দাবি করেছেন, ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের সিদ্ধান্ত মানুষের স্বাভাবিক জীবনে কোনও প্রভাব ফেলেনি। তাঁর স্বাভাবিক ভাবেই তাঁদের রোজকার কাজকর্ম করছেন। রাওয়তের পাল্টা মন্তব্য, ‘‘সন্ত্রাসবাদের উপর নির্ভর করে যাঁদের বেঁচে থাকতে হয়, তাঁরাই বলছেন, কাশ্মীরের মানুষের জীবন বিপর্যস্ত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy