ভোপালে অখিলেশ যাদব। ছবি- পিটিআই
মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতির জন্য দু’দিনের সফরে আজ ভোপালে পৌঁছলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ সিংহ যাদব। সেখানে নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি যাচাই, কর্মিসভার পাশাপাশি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখবেন তিনি। সূত্রের খবর, মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কমল নাথের সঙ্গেও বৈঠক হতে পারে তাঁর।
উত্তরপ্রদেশের সাম্প্রতিক উপনির্বাচনগুলিতে সাফল্যের পরে আসন্ন বিধানসভা ভোটগুলিতে বিজেপিকে হারাতে ওই জোটের মডেলটিকে কাজে লাগাতে তৎপর অখিলেশ এবং কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। দুই নেতাই চাইছেন, বিএসপি নেত্রী মায়াবতীকে নিজেদের সঙ্গে রেখে ভোটে লড়তে। আজ অখিলেশ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রাহুল বা মায়াবতীর নাম না করে বলেন, ‘‘২০১৯-এ নতুন প্রধানমন্ত্রী পাবে দেশ এবং সেই প্রধানমন্ত্রী হবেন উত্তরপ্রদেশ থেকেই।’’
সম্প্রতি রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়ের কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাহুল। সেখানে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, দলিত নেত্রীর সঙ্গে আসন সমঝোতার কথাবার্তা শুরু করে দিতে। রাজস্থানের প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব এখনও অন্য কোনও দলের সঙ্গে জোট গড়ে লড়াইয়ের পক্ষপাতী নন। সচিন পায়লট জানিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেস রাজস্থানে একা লড়েই জেতার অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু অন্য দু’টি রাজ্যে চেষ্টা করা হচ্ছে মায়াবতীকে সঙ্গে নিয়ে এগোনোর।
মায়াবতী অবশ্য এখনও তাঁর হাতের তাস দেখাননি। তিনি মুখে বিজেপির বিরোধিতা করার পাশাপাশিই চাপ তৈরি করে যাচ্ছেন রাহুল–অখিলেশের উপর। পাশাপাশি তাঁর দলের পক্ষ থেকে এটাও জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবেই তিনি নির্বাচনী ময়দানে নামবেন।
বিষয়টি নিয়ে এসপি নেতৃত্ব আলোচনা করেছেন নিজেদের মধ্যে। আপাতত স্থির হয়েছে যে, মায়াবতীকে চটানোটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। তাঁর তালে তাল দিয়ে চলা হোক। এমনিতেও ভোটের আগে কোনও সর্বসম্মত বিরোধী প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী সামনে রাখা হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করবেন অখিলেশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy