সাংবাদিক বৈঠকে অখিলেশ। ছবি: পিটিআই।
হাতে দু’টো কলের মুখ। সাংবাদিক বৈঠক করতে এলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। বললেন, ‘‘আদিত্যনাথের সরকার যদি প্রমাণ করতে পারে, বাংলোর বাথরুম থেকে কল খুলে নিয়ে গিয়েছি আমি, তা হলে এগুলি ওঁদের হাতে তুলে দেব!’’
সমাজবাদী পার্টির নেতার ক্ষোভের কারণ, তাঁর বিরুদ্ধে তোলা বিজেপির অভিযোগ। নরেন্দ্র মোদীর দলের নেতারা খোঁচা দিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের আদেশে ৪ নম্বর বিক্রমাদিত্য মার্গের বাংলো ছেড়ে দিয়ে যাওয়ার সময়ে ভাঙচুর চালিয়েছেন অখিলেশ। ভেঙেচুরে নিয়ে গিয়েছেন সেখানকার জিনিসপত্র। বিজেপির কটাক্ষ, হার হবে বুঝে অনেক শিশুই খেলা শেষ করে দিতে চায়— তেমন কাজই করেছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা। এক কদম এগিয়ে রাজ্যপাল রাম নাইক যোগী সরকারকে চিঠি লিখে বলেছেন, ‘‘ব্যাপারটা গুরুতর। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’’ কারণ, ‘‘এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে করদাতাদের টাকা নয়ছয়ের প্রশ্ন।’’
এর বিরুদ্ধেই আজ পাল্টা আক্রমণে গিয়েছেন অখিলেশ। তাঁর দাবি, রাজ্যে লোকসভার তিনটি উপনির্বাচনেই হেরে গিয়ে বিজেপি এখন তাঁকে বদনাম করতে নেমেছে। ওই বাংলোয় জিম, বাথরুম, কিচেন আর সাইকেল ট্র্যাকে ভাঙচুরের যে ছবি উঠেছে, সে ব্যাপারে ব্যাখাও দেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘‘জিম আমি নিজেই বানিয়েছিলাম। সেখানে স্টিলের কাঠামো আমারই করা। নতুন বাড়িতে সেটাই ব্যবহার করব।’’ তবে অন্য সব জিনিসপত্র ভাঙচুরের ছবিকে ‘ক্যামেরার কারসাজি’ বলেই দাবি করেন তিনি। এসব নিয়ে হইচই করার জন্য ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনেন বিজেপির বিরুদ্ধে। রাজ্যপাল রাম নাইককে নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘উনি ভাল মানুষ। তবে মাঝে মাঝে সঙ্ঘের আত্মা ওঁর শরীরে ঢুকে যায়।’’ রাজ্যপাল এ ব্যাপারে সংবিধান মেনে কাজ করছেন না বলেই অভিযোগ এনেছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা। বলেছেন, ‘‘এর পরও যদি ওই সরকারি ওই বাংলো থেকে কোনও কিছু হারিয়ে যায়, সে সব ফিরিয়ে দিতে রাজি আছি আমি।’’
সাংবাদিক বৈঠকের কিছু ক্ষণ পরেই রাজ্য সরকারের মুখপাত্র সিদ্ধার্থনাথ সিংহ বলেন, ‘‘বাংলোয় খরচ করার মতো টাকা কোথায় পেলেন, অখিলেশের উচিত তা আয়কর দফতরকে জানানো। আর ভেঙে ফেলা দেওয়ালের পিছনে কী ছিল, তা নিয়েও মুখ খোলা উচিত সমাজবাদী পার্টির নেতার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy