Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
National news

উত্তরপ্রদেশে গণধর্ষণ ও খুনের অভিযুক্তেরা নির্যাতিতারই আত্মীয়, জানাল পুলিশ

রাজপুরা থানার আধিকারিক অরুণ কুমার জানিয়েছেন, ঘটনার পর ওই পাঁচ জন চলে গেলে স্বামী ও ভাইকে ফোন করার চেষ্টা করেন ওই মহিলা। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি।

গভীর রাতে ঘুমন্ত মহিলাকে তুলে তাঁকে গণধর্ষণ করে পাঁচ জন। প্রতীকী ছবি।

গভীর রাতে ঘুমন্ত মহিলাকে তুলে তাঁকে গণধর্ষণ করে পাঁচ জন। প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
বরেলী শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৮ ১৭:৩৭
Share: Save:

উত্তরপ্রদেশের সম্ভল জেলার মহিলাকে গণধর্ষণ করে খুন করেছে তাঁর নিজের আত্মীয়েরাই। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করে এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ।

সম্ভলের এসপি, আর এম ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, ধৃতদের নাম আরম সিংহ এবং কুঁওর পাল ওরফে ভুনা। তাদের জেরা করা হচ্ছে। বাকি তিন জন অভিযুক্তের নাম মহাবীর, চরণ সিংহ এবং গুল্লু।

রাজপুরা থানার তদন্তকারী আধিকারিক বরুণ কুমার বলেন, “প্রাথমিক ভাবে আমরা জানতে পেরেছি, ওই ঘটনায় অভিযুক্তরা সকলেই নির্যাতিতার আত্মীয়। মহাবীর নামে এক অভিযুক্ত তো ওই মহিলার স্বামীর দূর সম্পর্কের ভাইপো। অন্য চার জনও তাঁর আত্মীয়-পরিজন। পাঁচ জনের খোঁজেই মহিলার আত্মীয়দের বাড়িতে তল্লাশি চালানো শুরু করা হয়।”

আরও পড়ুন
‘ওকে ছেড়ো না!’ মৃত্যুর আগে ভাইকে টেক্সট দিল্লির বিমানসেবিকার

ঘটনার পরেই ওই পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ করে খুন, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। পাশাপাশি, ঘটনার তদন্তে পুলিশের চারটি দল গঠন করা হয়েছে।

ওই ঘটনাটি ঘটেছিল শনিবার গভীর রাতে রাজপুরা থানা এলাকার একটি গ্রামে। বছর পঁয়ত্রিশের ওই মহিলার স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে রাতের অন্ধকারে তাঁর ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে পাঁচ জন। ঘুমন্ত মহিলাকে তুলে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। ঘটনার পর সেখানে থেকে চলে গেলেও সেই রাতেই ফের মহিলার বাড়িতে হানা দেয় তারা। এর পর তাঁকে টানতে টানতে বাড়ির কাছেই একটি মন্দিরের ভিতরে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারে ওই পাঁচ জন।

আরও পড়ুন
ছেলেধরা সন্দেহে কর্নাটকে গুগলের ইঞ্জিনিয়ারকে পিটিয়ে খুন

রাজপুরা থানার আধিকারিক অরুণ কুমার জানিয়েছেন, ঘটনার পর ওই পাঁচ জন চলে গেলে স্বামী ও ভাইকে ফোন করার চেষ্টা করেন ওই মহিলা। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি। এর পর এক আত্মীয়কে ফোন করে গোটা ঘটনা জানান তিনি। অভিযুক্তদের নাম-পরিচয়ও জানিয়ে দেন।

মহিলার স্বামীর দাবি, মৃত্যুর আগে ১০০ নম্বর ডায়াল করে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন তাঁর স্ত্রী। তবে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলে অভিযোগ।

রবিবার ঘটনাস্থলে যান এডিজি প্রেম প্রকাশ। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্তে নেমে ওই মহিলার ফোন কলের রেকর্ড সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই সূত্র ধরেই ওই গ্রামেরই আরম সিংহ, মহাবীর, চরণ সিংহ, গুল্লু এবং কুঁওর পালের নাম জানা যায়। মহিলার স্বামীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, “লখনউয়ে ১০০ নম্বরের কন্ট্রোল রুমের রেকর্ড দেখা হচ্ছে। ১০০ নম্বরে কোনও কল করা হয়নি। হয়তো চেষ্টা করেও লাইন পাননি তিনি। সে জন্য কল করা সম্ভব হয়নি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE