একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়ার কৌশলটি আজ প্রকাশ্যে আনল রাহুল গাঁধীর দল।
আজই প্রথম এআইসিসি মঞ্চ থেকে ঘোষণা করা হল, লোকসভা ভোটের আগে জাতীয় স্তরে কোনও পৃথক ফ্রন্ট হবে না। কিন্তু বিজেপি-বিরোধী বিভিন্ন দলের সঙ্গে রাজ্যওয়াড়ি প্রাক নির্বাচনী সমঝোতা হবে। কংগ্রেসের আগেই আজ এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার একই কথা জানান। তাঁর কথায়, ১৯৭৭ সালের মতো বিরোধী দলগুলি মিলে শাসক দলকে হারানোর চেষ্টা করবে। আর আঞ্চলিক দলগুলি এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেবে। পওয়ার জানান, বিরোধী দলগুলির প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থী কে হবেন, সেটি এখনও ঠিক হয়নি।
পরে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘শরদ পওয়ার ঠিকই বলেছেন। মহারাষ্ট্রে এনসিপি-র সঙ্গে কংগ্রেসের সমঝোতা হতে পারে। কিন্তু গুজরাতে নয়। তেমনই যে রাজ্যে যে দল শক্তিশালী, তাদের মধ্যেই সমঝোতা হবে।’’ আসলে রাহুল গাঁধী নিজে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের নেতাদের সঙ্গে এই নিয়ে আগেই কথা বলে রণকৌশলটি স্থির করেছেন। বিরোধী দলগুলি মিলে এমন ৪০০টি-র মতো আসন চিহ্নিত করেছে, যেখানে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দিলে বিজেপিকে হারানো সম্ভব।
বিরোধীদের এই সমঝোতার গন্ধ পেয়েই আশঙ্কা বেড়েছে বিজেপির। গত সপ্তাহে সুরজকুণ্ডে আরএসএস ও বিজেপি নেতাদের বৈঠকেও এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যেখানে প্রাথমিক ভাবে ১০৪টি আসন তারা চিহ্নিত করেছে, যেখানে বিজেপি সাংসদ আর নিরাপদ নন। এর মধ্যে কুড়ি জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আসনও রয়েছে। তবে বিজেপির এক নেতার কথায়, বিরোধীরা জোট বেঁধে প্রার্থী দিলে বিজেপির অসুরক্ষিত আসনের সংখ্যা দ্বিগুণ-তিন গুণও হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy