নিহত পুলিশ অফিসার আরশাদ খানের পরিবারের সঙ্গে অমিত শাহ। ছবি: পিটিআই।
অনন্তনাগে সিআরপিএফের উপরে হামলার কথা শুনেই অতিরিক্ত বাহিনী নিয়ে ছুটে গিয়েছিলেন তিনি। ১২ জুনের সেই সংঘর্ষে মৃত্যু হয় অনন্তনাগ সদর থানার ওসি আরশাদ আহমেদ খানেরও। আজ সেই আরশাদের বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাবা-মাকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বললেন, ‘‘গোটা দেশ আপনাদের ছেলের জন্য গর্বিত।’’
আজ জম্মু-কাশ্মীর সফরের দ্বিতীয় দিনে শ্রীনগরের বলগার্ডেন এলাকায় আরশাদের বাড়িতে যান শাহ। সেখানে আরশাদের বাবা মুস্তাক আহমেদ খান, মা মেহবুবা বেগম ও স্ত্রী দিলশাদার সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পরিবারের সদস্যদের হাতে আরশাদের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সরকারি মানপত্র তুলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দিলশাদাকে রাজ্য সরকারের চাকরিতে নিয়োগ করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে আর্থিক সাহায্যও।
রাজ্যে জঙ্গি হামলায় নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের হাতেও আজ চেক তুলে দেন শাহ। পরে রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক এবং প্রশাসন ও বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সরকারি সূত্রে খবর, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিহত পুলিশকর্মীদের শহর বা গ্রামে তাঁদের মৃত্যুবার্ষিকী পালনের নির্দেশ দিয়েছেন শাহ। সেইসঙ্গে তাঁর নির্দেশ, বিভিন্ন জনপ্রিয় স্থানের নামও নিহত পুলিশকর্মীদের নামে রাখতে হবে। জঙ্গিদের পাশাপাশি সন্ত্রাসে আর্থিক মদতের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে গোয়েন্দা সংস্থা ও বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
অমিত রাজ্যে থাকাকালীন আজই কুলগামের খুদওয়ানিতে বিস্ফোরণে নাজির আহমেদ বাট নামে এক বাসিন্দা নিহত হন। আহত হয়েছেন দু’জন। তাঁদের মধ্যে এক জন আশঙ্কাজনক। তাঁকে অনন্তনাগের সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, জঞ্জাল পোড়াচ্ছিলেন কয়েক জন। তার মধ্যেই কোনও বিস্ফোরক পদার্থ ছিল। তবে কী বিস্ফোরক ছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। আজ অনন্তনাগের বিজবেহারা এলাকার বাগিচা থেকে এক জঙ্গির দেহ উদ্ধার করেছে বাহিনী। সেখান থেকেই পাকড়াও করা হয়েছে আর এক আহত জঙ্গিকে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত জঙ্গি আদিল ডাস বিজবেহারারই বাসিন্দা। ধৃত জঙ্গির নাম আরিফ হুসেন বাট। তার বাড়ি ফাদেপোরায়। গোয়েন্দাদের ধারণা, কোনও কারণে দুই জঙ্গির মধ্যে গুলির লড়াই হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy