এ-পারে এসেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি সিধু। ছবি: এএফপি।
দিন কয়েক আগেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে ইমরান খানের শপথে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নভজ্যোৎ সিংহ সিধু। এ বার সিধুর স্ত্রী নভজ্যোৎ কৌর জড়িয়ে পড়লেন অমৃতসর ট্রেন দুর্ঘটনা বিতর্কে।
এলাকার স্থানীয় বিধায়ক সিধু, রাজ্যের মন্ত্রীও। গত কাল তিনি ছিলেন কোঝিকোড়ে। ফলে এলাকার দশেরা অনুষ্ঠানগুলিতে জনসংযোগ রক্ষার দায় এসে পড়ে স্ত্রী নভজ্যোৎ কৌরের উপরে। স্বভাবতই লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সিধু তথা শাসক কংগ্রেস শিবিরের বিরুদ্ধে স্থানীয় ভাবাবেগকে উস্কে দিতে আজ থেকেই মাঠে নেমে পড়েছেন শিরোমণি অকালি দল এবং বিজেপি নেতৃত্ব।
অভিযোগ উঠেছে, গত কাল ট্রেন দুর্ঘটনার সময়ে দশেরা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সিধুর স্ত্রী নভজ্যোৎ। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, দুর্ঘটনা ঘটেছে বুঝতে পেরে তিনি দ্রুত চলে যান। যদিও কৌরের দাবি, তিনি ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে আসার পরে মোবাইলে দুর্ঘটনার খবর পান। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিভিন্ন হাসপাতালে যান। তিনি বলেন, “বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদেরও অনুরোধ করি আহতদের চিকিৎসার জন্য।” সিধুরও দাবি, বাড়ি ফেরার পর তাঁর স্ত্রী দুর্ঘটনার খবর পান।
অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কংগ্রেসের কাউন্সিলার সৌরভ মিঠ্ঠুর বিরুদ্ধে। নভজ্যোৎ পরিবারের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে রাবণের মূর্তি পোড়ানোর অনুমতি অনায়াসে পুলিশের কাছ থেকে জোগাড় করে নেন। যদিও প্রশাসনের একাংশ বলছে, অত ছোট মাঠে রাবণ পোড়ানোর অনুমতি সচরাচর দেওয়া হয় না।
দশেরা অনুষ্ঠানে সিধুর স্ত্রীয়ের দেরি করে আসাও দুর্ঘটনার একটি বড় কারণ বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তাদের মতে, বিধায়কের স্ত্রী যদি সময়ে অর্থাৎ সওয়া ৬টায় চলে আসতেন, তাহলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রাবণ দহন শেষ হয়ে যেত। এ ভাবে দুর্ঘটনার শিকার হতে হত না।
গত কাল সন্ধ্যায় দুর্ঘটনা ঘটলেও, আজ সকালে অমৃতসর পৌঁছন সিধু। তাঁর দেরি করে আসা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী শিবির। যদিও সিধুর বক্তব্য, “দলীয় কর্মসূচিতে গত কাল কালিকট গিয়েছিলাম। সেখান থেকে বেঙ্গালুরুতে নামার পর দুর্ঘটনার খবর পাই। সরাসরি বিমান না থাকায় দিল্লি হয়ে আমায় আসতে হয়। সেই কারণে দেরি হয়েছে। দয়া করে রাজনীতি করবেন না। দুর্ঘটনা ঘটেছে, কিছু লোকের গাফিলতিও হয়েছে।’’ সকালে এসেই তিনি চলে যান স্থানীয় হাসপাতালগুলিতে। আহতদের সঙ্গে কথা বলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy