আহতদের দেখতে হাসপাতালে নভজ্যোৎ কউর। ছবি সৌজন্যে: টুইটার
দশেরায় রাবণ পোড়ানোর অনুষ্ঠান। সেখানে প্রধান অতিথি পঞ্জাবের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী নভজ্যোৎ কউর সিধু। তিনি প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোৎ সিংহ সিধুর স্ত্রী। সব মিলিয়ে শয়ে শয়ে মানুষ জড়ো হয়েছিলেন অমৃতসরের ধোবি ঘাট মাঠে।
কিন্তু, ওই অনুষ্ঠান দেখতে আসা দর্শনার্থীদের মধ্যে ৬০ জনের ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর ঘটনার পর অভিযোগের আঙুল উঠল নভজ্যোৎ কউর সিধুর দিকেই। প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেরই অভিযোগ, দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান তিনি। অনুমোদনহীন একটি অনুষ্ঠানে কী ভাবে তিনি প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন নভজ্যোৎ কউর।
শুক্রবার রাতে রাবণ পোড়ানোর অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল জোড়া ফটক এলাকায় ধোবি ঘাটের কাছে একটি মাঠে। অনুষ্ঠানের সময় রেললাইনে উঠে পড়েন কয়েকশো মানুষ। তখনই দ্রুতগতির একটি ট্রেন বহু মানুষকে পিষে দিয়ে চলে যায়। মৃত্যু হয় অন্তত ৬০ জনের।
আরও পড়ুন: রেল, প্রশাসন নাকি উদ্যোক্তা, অমৃতসরে কার অপদার্থতার বলি হলেন এত মানুষ
অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিলেন স্থানীয় কংগ্রেস কাউন্সিলরের ছেলে সৌরভ মিঠু মদান। ছোট্ট মাঠে জায়গা সঙ্কুলান না হওয়ায় অনেকেই রেললাইনে উঠে পড়েন। তার জেরেই এত মানুষের প্রাণ গেল বলে মত অনেকের।
কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, দুর্ঘটনার সময় ওই অনুষ্ঠানস্থলেই ছিলেন নভজ্যোৎ কউর। কিন্তু ঘটনার ঘটতেই এলাকা ছেড়ে চলে যান তিনি। যদিও নভজ্যোৎ কউর সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি জানান, ঘটনার কিছু ক্ষণ আগেই তিনি বাড়িতে চলে আসেন। বাড়িতে ঢোকার পরই তিনি দুর্ঘটনার খবর পান। তার পর পুলিশ কমিশনারকে ফোন করে ঘটনাস্থলে যেতে চান। কিন্তু রাস্তায় প্রচুর যানজট ও উত্তেজনা থাকায় কমিশনারই তাঁকে সেখানে যেতে নিষেধ করেন।
আরও পড়ুন: লাইনে দাঁড়িয়েই রাবণ পোড়ানো দেখছিল জনতা, পিষে দিল ট্রেন, অমৃতসরে মৃত অন্তত ৬০
পঞ্জাবের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী পেশায় চিকিৎসক নভজ্যোৎ কউর বলেন, ‘‘তখন আমার মনে হয়, অন্তত আহত মানুষগুলিকে যদি বাঁচাতে পারি, সেই চেষ্টা করার। তাই সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে ছুটে যাই।’’
অন্য দিকে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে ওই অনুষ্ঠানের কোনও অনুমতিই নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ সেই অনুষ্ঠানেই নভজ্যোৎ কউরের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে নভজ্যোৎ কউরের বক্তব্য, ‘‘আমার খারাপ লাগছে, এত বড় বিপর্যয়ের সময়ও কিছু মানুষ রাজনীতি করছে। কিছু মানুষ এর ফায়দা তুলতে চাইছে।’’ রেলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে প্রশ্ন তুলেছেন, দশেরার সময় বহু জায়গায় রেললাইনের ধারে রাবণ পোড়ানো হয়। তার পরেও রেল কেন সাবধানতা অবলম্বন করল না? উঠছে প্রশ্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy