তান্ত্রিকের পরামর্শেই ছেলের কবরের পাশে ঠায় বসে রইলেন অন্ধ্রপ্রদেশের এক ব্যক্তি। প্রতীকী ছবি।
মৃত ছেলের কবরের পাশে বসে থাকলেই ফের বেঁচে উঠবে সে। এমনটাই আশ্বাস দিয়েছিল তান্ত্রিক। সেই অন্ধবিশ্বাসে ভর করেই ছেলের কবরের পাশে এক মাসেরও বেশি ঠায় বসে রইলেন বাবা। ঘটনা অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর জেলার।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৩৮ দিন ধরে নিজের ছেলের কবরের পাশে বসেছিলেন নেল্লোরের পেটলুরু গ্রামের বাসিন্দা থুপ্পাকুলা রামু। স্থানীয় এক তান্ত্রিক তাঁকে আশ্বাস দিয়েছিল, ৪১ দিন ধরে ছেলের কবর পাহারা দিলেই ফের জীবিত হয়ে উঠবে সে। সেই মতো পেটলুরু গ্রামের কবরখানায় গিয়ে বসেছিলেন ৫৬ বছরের থুপ্পাকুলা। তবে তার আশার জল ঢেলে দিল স্থানীয় পুলিশ। থুপ্পাকুলার কথা জানাজানি হতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এর তাঁকে বুঝিয়ে কবরখানার থেকে তাঁকে গ্রামের বাড়িতে ফিরিয়ে আনে পুলিশ।
পুলিশের অনুমান, মৃত ছেলেকে ফিরে পেতে ওই তান্ত্রিককে ৭ লক্ষ টাকাও দিয়েছেন থুপ্পাকুলা। তবে এ নিয়ে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি তিনি।
আরও পড়ুন: ভারতরত্ন-কে অসম্মানের অভিযোগ, জুবিন গর্গের বিরুদ্ধে এফআইআর বিজেপি-র
নেল্লোর পুলিশ জানিয়েছে, থুপ্পাকুলার ২৬ বছরের ছেলে টি শ্রীনিবাসালু গত মাসে মারা যান। কদপা জেলার কোদুরু শহরে থাকতেন তিনি। ২০১৪ থেকে কুয়েতে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন শ্রীনিবাসালু। তিন মাস আগেই দেশে ফিরেছিলেন তিনি। এর পর একটি অটো রিক্সা কিনে রোজগার শুরু করেন। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন। কোদুরু শহরে থাকাকালীন সোয়াইন ফ্লু-তে আক্রান্ত হন। তিরুপতির একটি সরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। সেখানেই মারা যান শ্রীনিবাসালু।
আরও পড়ুন: লটারির নামে প্রতারণা, রাজ্য থেকে হাওয়ালাতে টাকা যাচ্ছে পাকিস্তানে, ধৃত দুই শিল্পকর্তা
ছেলের মৃত্যুর পর স্বাভাবিক ভাবেই ভেঙে পড়েছিলেন থুপ্পাকুলা। তাঁকে ফিরে পেতেই তান্ত্রিকের পরামর্শ মেনে নিয়েছিলেন তিনি। নেল্লোর পুলিশ ডিএসপি শ্রীরামবাবু জানিয়েছেন, তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে কোনও রকমের কেস দায়ের করতে চাননি থুপ্পাকুলা। উল্টে পুলিশের কাছে তিনি জানিয়েছেন, যে কোনও প্রথায় বিশ্বাস রাখার অধিকার রয়েছে তাঁর। এবং এ ক্ষেত্রে তিনি কোনও অপরাধ করেননি।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy