দিল্লির যন্তর মন্তর থেকে রাজস্থানের শিকর— ফের নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে গ্রামের কৃষক, গরিবরা।
রাজস্থানে ১১ দিন ধরে ফসলের ন্যায্য মূল্যের দাবিতে জেলাশাসকের দফতর ঘেরাও করছেন কৃষকেরা। শিকর ছাড়াও গঙ্গানগর, চুরু, বিকানের-সহ ১০-১২টি জেলায় জেলাশাসকের দফতরের সামনে ১০-১২ হাজার কৃষক ধরণায় বসছেন। কোথাও কোথাও বিক্ষোভকারীর সংখ্যা লক্ষ ছুঁয়ে যাচ্ছে।
সোমবার বন্ধের চেহারা নেয় রাজস্থানের অধিকাংশ জেলা। জমায়েত সামলাতে ১৪৪ ধারা জারি করে, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করেও লাভ না হওয়ায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দ্বারস্থ হন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে। ঠিক হয়, রাজ্যের মন্ত্রীরা কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।
দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন একশো দিনের কাজের কর্মীরা। সোমবার থেকে যন্তরমন্তরে পাঁচ দিনের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। রাজস্থানে কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা সিপিএমের কিষাণ সভার নেতা হান্নান মোল্লার যুক্তি, মোদী সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল, স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশ মেনে চাষের খরচের দেড়গুণ ফসলের দাম দেওয়া হবে। সেটা করুক। ছোট ও মাঝারি কৃষকদের ঋণও মকুব হোক।
একশো দিনের প্রকল্পের কর্মীদের অভিযোগ, মোদী সরকার প্রকল্পটি শেষ করে দিতে চাইছে! মজদুর কিষাণ শক্তি সংগঠনের নিখিল দে বলেন, ‘‘এ বছর সরকার ৪৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে বলে বড়াই করছে। বাস্তব হল, গত বছরেই কর্মীদের ১১ হাজার কোটি টাকা বাকি ছিল। ফলে বাস্তবে বরাদ্দ ৩৭ হাজার কোটি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy