সঙ্ঘ পরিবারের চাপেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিদের নিয়োগ আটকে রয়েছে।
কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্ট থেকে কলেজিয়াম সাত জন বিচারপতির প্যানেল পাঠিয়েছিল। কিন্তু এর তিনটি নাম নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে আরএসএসের শীর্ষ নেতৃত্বর। তাঁদের অভিযোগ, এঁরা নাকি দীর্ঘদিন থেকে সঙ্ঘ-বিরোধী রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।
সূত্রটি জানাচ্ছে, আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ নিজে এ বিষয়ে জড়িত নন। কলকাতা হাইকোর্টের পাঠানো প্যানেল আইন মন্ত্রক পাঠিয়ে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে। অবশ্য ইতিমধ্যেই বম্বে, দিল্লি ও চেন্নাই হাইকোর্টের প্যানেল মনোনীত হয়ে তাতে রাষ্ট্রপতির সিলমোহর লেগে গিয়েছে। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের প্যানেল এখনও আটকে।
কলকাতা হাইকোর্টে ৭২ জন বিচারপতি থাকার কথা। এর ৩৮টি পদই এখন খালি। অথচ হাইকোর্টে প্রায় ৩ লক্ষ মামলা ঝুলে রয়েছে। ফলে অবিলম্বে বিচারপতি নিয়োগ না হলে কাজের অসুবিধা হচ্ছে। আইনজীবীদের অনেকেই মনে করছেন, দেরির ফলে বিচারপতিরা তাঁদের সিনিয়রিটি হারাবেন। ভবিষ্যতে সুপ্রিম কোর্টে মনোনয়নের সময়ে অন্য রাজ্যের তুলনায় কলকাতা পিছিয়ে পড়বে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া চায় কোর্ট
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই দেরিতে ক্ষুব্ধ। তিনি কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীকে সমস্যাটি জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, বিচারপতি নিয়োগের আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে। তাতে কোনও ভাবেই রাজ্য সরকার নাক গলাতে পারে না। কিন্তু অন্য সব রাজ্যে নিয়োগ হয়ে যাবে আর কলকাতায় হবে না— এ কেমন কথা? আর কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মণু সিঙ্ঘভির মন্তব্য, ‘‘রাজনীতির কারণে প্যানেল আটকে থাকা দুর্ভাগ্যজনক।’’ আরএসএস অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করছে। সঙ্ঘের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সরকার কিংবা আদালতে নানা পদে কে বসবে— তা নিয়ে তাঁরা মাথা ঘামান না।
নরেন্দ্র মোদী প্রথম থেকেই প্রশাসনিক দক্ষতা ও দ্রুততার দাবি করে এসেছেন। সেই সরকারই যে ভাবে এই নিয়োগ আটকে রেখেছে, তা দেখে প্রবীণ আইনজীবীরা বিস্মিত। মোদী শেষে কলেজিয়ামের প্রস্তাব মেনে নেন, নাকি সঙ্ঘের আপত্তির কথা শোনেন, এখন সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy