বাতিল হওয়া জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ের (এনএসএ) বৈঠকের স্মৃতি এখনও টাটকা। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সীমান্ত সমস্যা নিয়ে দিল্লিতে ডিজি পর্যায়ের বৈঠকে বসতে চলেছে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও পাক রেঞ্জার্স। কিন্তু সেই বৈঠকের আগেই ফের শুরু হয়ে গিয়েছে তরজা। ওই বৈঠকে পাকিস্তান সীমান্তের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের হস্তক্ষেপ দাবি করতে পারে বলে আশঙ্কা করে আগেভাগেই বিষয়টি নিয়ে কোনও রকম আলোচনা করারই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। জবাবে পাক প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাল্টা হুঙ্কারে বলা হয়েছে, এনএসএ বৈঠকের মতোই এ ক্ষেত্রেও মোদী সরকার আগে থেকেই শর্ত আরোপ করে আলোচনায় বসতে চাইছে। কিন্তু ভারত যেন না ভোলে, কাশ্মীর ছাড়া ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা হওয়া অসম্ভব।
এনএসএ বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পরে এই প্রথম কোনও সরকারি স্তরে আলোচনায় বসতে চলেছে দু’দেশ। পাকিস্তান রেঞ্জার্সের ডিজি মেজর জেনারেল উমর ফারুক বরুকি ষোলো জনের একটি দল নিয়ে আগামিকাল আসবেন অমৃতসরে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে প্রথামাফিক সন্ত্রাস রোধ, জাল টাকা, সীমান্তে ক্যামেরা বসানো, সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের মতো বিষয়গুলি ছাড়াও পরিকল্পনামাফিক সীমান্ত সংঘর্ষ কমাতে রাষ্ট্রপুঞ্জের হস্তক্ষেপের বিষয়টি বৈঠকে তুলতে চলেছে পাকিস্তান। এ ভাবেই ফের কাশ্মীর প্রসঙ্গ আন্তর্জাতিক মঞ্চে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে তারা।
১৯৪০-এর দশক থেকেই কাশ্মীর সীমান্তে রাষ্ট্রপুঞ্জের সামরিক পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী রয়েছে। কিন্তু তাদের নজরদারি কখনওই মানতে রাজি হয়নি ভারত। দিল্লির কূটনীতিকদের মতে, এই প্রসঙ্গ টেনে এনে ফের বৈঠক বাতিলের চেষ্টা করছে পাকিস্তান। কারণ, তারা জানে রাষ্ট্রপুঞ্জের নজরদারি মানবে না ভারত।
এ দিকে ভারত-পাক আলোচনা প্রক্রিয়া বিগড়ে দেওয়া নিয়ে পাকিস্তানের পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মুফতি মহম্মদ সইদকেও তোপ দেগেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা। ওমরের মতে, দিল্লিকে খুশি করতে গিয়ে এই প্রক্রিয়া বিগড়ে দিয়েছেন মুফতি। কারণ, আগে কখনও পাক প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করা রুখতে হুরিয়ত নেতাদের আটক করা হয়নি। কিন্তু শ্রীনগরে বিজেপি-পিডিপি জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মুফতি সে কাজটিই করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy