চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়ত। ছবি: পিটিআই।
এক জন সেনাপ্রধান হয়ে ‘রাজনৈতিক’ মন্তব্য করে বিরোধী দলগুলোর প্রবল সমালোচনা মুখে পড়েছিলেন। তিনি রাজনীতি ঘেঁষা— এমন অভিযোগও উঠেছে। সেই অভিযোগ যে সত্যি নয় সেই বার্তা দিতে ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ নামলেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল বিপিন রাওয়ত। বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খণ্ডন করে রাওয়ত জানালেন, রাজনীতি থেকে অনেক দূরেই থাকে সেনা। শুধু সরকারের নির্দেশ মতোই কাজ করতে হয় তাদের।
সিডিএস হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন রাওয়ত। তিনি বলেন, “দেশের তিন বাহিনীর মধ্যে কী ভাবে সমন্বয় বাড়ানো যায় এখন সেটাই আমার মূল লক্ষ্য।” পাশাপাশি রাওয়ত আরও বলেন, “তিন বাহিনী একটা টিম হিসেবেই কাজ করবে। এমনটা নয় যে এই তিন বাহিনী চালাবে সিডিএস। তবে সমন্বয় গড়ে তোলাটাই এখন প্রধান এবং প্রথামিক কাজ।”
সেনা প্রধান থাকাকালীন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে দেশে হিংসা প্রসঙ্গে মন্তব্য করে প্রবল সমালোচনা মুখে পড়তে হয়েছিল রাওয়তকে। একটি অনুষ্ঠান থেকে তিনি সিএএ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “যাঁরা মানুষকে ভুল পথে চালিত করেন তাঁরা কখনও নেতা হতে পারেন না। বিভিন্ন শহর ও মফসসলের মানুষের মধ্যে হিংসা ছড়াতে যে ভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, আর যাই হোক তাঁরা নেতা নন।” তাঁর এই মন্তব্যের পরই রাজনৈতিক মহল থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে। এক জন সেনাপ্রধান হিসেবে এমন কথা তাঁর মুখে শোভা পায় না বলেও, মন্তব্যও উ়ড়ে আসে।
কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম বলেছিলেন, “রাজনীতিবিদরা কী করবেন আর করবেন না সেটা সেনার দেখার বিষয় নয়। যেমন আমরা তাদের বলতে যাই না কী ভাবে যুদ্ধ করতে হবে। সেনারা তাদের পরিকল্পনা মতো যুদ্ধ করে। আর আমরা আমাদের পরিকল্পনা মতো কাজ করি।”
আরও পড়ুন: ‘সোনার বছর’ ভারতের, যাচ্ছে চন্দ্রযান-৩, মহড়া গগনযানেরও
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy