Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ বার ঘরে ফেরার আশায় কাশ্মীরি পণ্ডিতেরা

কাশ্মীরি পণ্ডিতদের একাধিক সংগঠন মোদী সরকারের ৩৭০ অনুচ্ছেদ  বিলোপের সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়েছে।

মিষ্টিমুখ: লখনউয়ে উচ্ছ্বাস কাশ্মীরি পণ্ডিতদের। ছবি: পিটিআই।

মিষ্টিমুখ: লখনউয়ে উচ্ছ্বাস কাশ্মীরি পণ্ডিতদের। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৯ ০৩:২১
Share: Save:

কেউ দু’হাত তুলে স্বাগত জানাচ্ছেন, কেউ আবার দু’দশকের বেশি সময় আগে ছেড়ে আসা নিজের ভিটেয় ফেরার আশায় বুক বাঁধছেন— কেন্দ্রের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের সিদ্ধান্তে কাশ্মীরি পণ্ডিতেরা রীতিমতো উচ্ছ্বসিত।

কাশ্মীরি পণ্ডিতদের একাধিক সংগঠন মোদী সরকারের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়েছে। সংগঠনগুলির আশা, এ বার কাশ্মীরি পণ্ডিতেরা সম্মানের সঙ্গে উপত্যকায় ফিরতে পারবেন। বিশ্বের কাশ্মীরি পণ্ডিতদের প্রতিনিধিত্ব করে বলে দাবি করা ‘গ্লোবাল কাশ্মীরি পণ্ডিত ডায়স্পোরা’ (জিকেপিডি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৫ অগস্ট, ২০১৯ দিনটি দেশের ইতিহাসে জায়গা পেয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আজ যে বিল পেশ করেছেন, তা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, দীনদয়াল উপাধ্যায়, অটলবিহারী বাজপেয়ীর মতো নেতাদের ভাবনার প্রতিফলন। সংগঠনের সভাপতি মনোজ ভান বলেন, ‘‘৩৭০ অনুচ্ছেদের বিলুপ্তি জম্মু-কাশ্মীরকে দেশের অন্যান্য অংশের আরও কাছে নিয়ে আসবে।’’ তাঁর আশা, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের কাশ্মীরে ফেরার জন্য কেন্দ্র সরকার একটি রূপরেখা তৈরি করবে।

উপত্যকা থেকে উৎখাত হওয়া কাশ্মীরি পণ্ডিতদের প্রতিনিধিত্ব করে বলে দাবি করা ‘অল স্টেট কাশ্মীরি পণ্ডিত কনফারেন্স’-এর সভাপতি রবীন্দ্র রায়না বলেন, ‘‘এ বার খোলা হাওয়ায় আশার শ্বাস নিতে পারব।’’

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

গত শতকের নয়ের দশকের প্রথম দিকে উপত্যকায় কাশ্মীরি পণ্ডিত বিতাড়ন শুরু হয়েছিল। খুন হয়েছিলেন বহু পণ্ডিত। প্রাণ ভয়ে অনেককে ঘরবাড়ি ছেড়ে দেশের অন্যত্র পালাতে হয়েছিল। তেমনই এক জন পি এল টিকু। গত নব্বইয়ের দশকে জঙ্গিরা হত্যা করেছিল তাঁর বড় ছেলেকে।

আজ ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের সিদ্ধান্তের পরে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘ছেলেকে আর ফিরে পাব না। পুত্রশোকে আমার স্ত্রীও চলে গেলেন। বিশাল বাড়ি, বাগান ছেড়ে আমাকে চলে আসতে হয়েছে। ওই সব দখল হয়ে গিয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্তে আশার আলো দেখছি।’’ কাশ্মীর ছাড়তে বাধ্য হওয়া আর এক জন এ কে ধর। তাঁর কথায়, ‘‘গত সাত দশক ধরে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ সুবিধার অপব্যবহার করেছে কিছু রাজনৈতিক দল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE