কয়লার ব্লকের নিলাম করালে এই পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে। মনমোহনকে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের সমন পাঠানো নিয়ে এই প্রতিক্রিয়া অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির।
লন্ডনে বণিকসভা ফিকি ও ব্রিটেন-ভারত বাণিজ্য পরিষদ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে জেটলির মন্তব্য, ক্ষমতায় আসার এক মাসের ভিতরে কয়লার ব্লকের নিলাম করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মনমোহন। তবে দশ বছর পেরিয়ে গেলেও তা করতে পারেননি। “মনমোহন সিংহ খনি নিলাম করার সিদ্ধান্ত নিলে আজ এই সঙ্কট হতো না” দাবি জেটলির। শুধু কয়লাই নয়, টু-জি স্পেকট্রাম বণ্টনে দুর্নীতি নিয়েও মনমোহনকে নিশানা করেন জেটলি। জানিয়েছেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর ভিতরে যে বার্তা বিনিময় হয়েছে, তাতে স্পষ্ট, অনেক গাফিলতির কথা মনমোহন জানতেন। এই বিষয়ে তাঁর মধ্যে কিছুটা ‘অসহায়তা ফুটে উঠেছে’ বলেই মত জেটলির।
মনমোহন সমন পাওয়ার পরেই কংগ্রেস নেতৃত্ব সরকারকে আরও চাপের মধ্যে রাখতে চাইছেন। সিলেক্ট কমিটির সময়সীমা বাড়ানোর দাবি তুলে রাজ্যসভায় কয়লা ও খনি বিল ঝুলিয়ে দিতে চাইছেন তাঁরা। তবে আজ জেটলি যে ভাবে মনমোহনকে নিশানা করলেন, তাতে রাজ্যসভায় সংঘাত আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হল। কংগ্রেসের সমর্থনে বিমা বিল পাশ হলেও জমি বিল আটকাতে এককাট্টা হয়েছেন বিরোধীরা। বিলের বিরোধিতায় মঙ্গলবার সংসদ থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত পদযাত্রা করবেন তাঁরা। তবে জেটলি দাবি করেছেন, জমি অধিগ্রহণ বিল নিয়ে নরেন্দ্র মোদী পিছিয়ে আসবেন না। বণিক সভার প্রতিনিধিদের সামনে তাঁর ব্যাখ্যা, বাধা এলেও আর্থিক সংস্কারের পথ থেকে সরে আসবেন না প্রধানমন্ত্রী। “সংস্কারের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই বিল পাশ করানোর প্রয়োজন নেই, সরকারি আদেশেই তা করা যেতে পারে” আশ্বাস দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
রাজ্যসভায় বিরোধীরা জমি বিল আটকাতে যে ভাবে তৎপর হয়েছেন, তার পরে জেটলির আজকের বক্তব্যে সরকারের অনমনীয় মনোভাব ফুটে উঠেছে। বোঝাই যাচ্ছে, রাজ্যসভায় বিল পাশ না হলে প্রয়োজনে সংসদের যৌথ অধিবেশনে জমি বিল পাশ করানোর চেষ্টা করবেন মোদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy