Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সনিয়ার রায়বরেলী ‘দত্তক’ নিলেন জেটলি

লোকসভা ভোটের মাস ছয়েক বাকি। কংগ্রেসকে বিপাকে ফেলতে সনিয়া গাঁধীর লোকসভা কেন্দ্র রায়বরেলীকে ‘দত্তক’ নিলেন খোদ দেশের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি! 

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:০৭
Share: Save:

লোকসভা ভোটের মাস ছয়েক বাকি। কংগ্রেসকে বিপাকে ফেলতে সনিয়া গাঁধীর লোকসভা কেন্দ্র রায়বরেলীকে ‘দত্তক’ নিলেন খোদ দেশের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি!

উত্তরপ্রদেশ থেকেই রাজ্যসভা সাংসদ হয়েছেন জেটলি। উত্তরপ্রদেশেই সনিয়া গাঁধীর কেন্দ্র রায়বরেলীকে জেটলি বেছে নিয়েছেন তাঁর সাংসদ তহবিলের টাকা খরচের জন্য। পাঁচ কোটি টাকার মধ্যে আড়াই কোটি টাকা ইতিমধ্যেই দিয়ে ফেলেছেন তিনি। আজ এ কথা জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশে জেটলির প্রতিনিধি ও বিজেপির মুখপাত্র হিরো বাজপেয়ী। রাহুল গাঁধীর কেন্দ্র অমেঠীতে গত লোকসভায় হারার পরেও স্মৃতি ইরানিকে সেখানে সক্রিয় রেখেছে বিজেপি। এ বারে রায়বরেলীতে কাজে লাগাল জেটলিকে।

প্রবল মোদী হাওয়াতেও গত লোকসভা ভোটে দাঁড়িয়ে হেরে গিয়েছিলেন জেটলি। এ বার কি তা হলে সনিয়া গাঁধী ফের ভোটে দাঁড়ালে জেটলিই হবেন তাঁর প্রতিপক্ষ?

সে কথা অবশ্য অস্বীকার করেছেন বাজপেয়ী। কিন্তু বলছেন, ‘‘জেটলি রায়বরেলীতে না দাঁড়ালেও কংগ্রেসের গড়ে বিজেপির হাত শক্ত করবেন। কংগ্রেস জমানায় রায়বরেলী অন্ধকারে ডুবে রয়েছে। এখন একটু উন্নয়নের মুখ দেখবে।’’

কংগ্রেসের এক নেতার অবশ্য স্পষ্ট মন্তব্য, ‘‘এটি নিছক রাজনীতি ছাড়া কিছু নয়। রায়বরেলীতে নিয়মিত সাংসদ তহবিলের টাকায় উন্নয়নের কাজ করছেন সনিয়া গাঁধী। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ পর্যন্ত নিয়ম করে ফি-বছর দু’বার করে টাকা বরাদ্দও হয়েছে। এ বছর ১৩ মার্চ শেষ কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছে।’’

কংগ্রেসের বক্তব্য, কেন্দ্র ও রাজ্যে বিজেপির সরকার। সাংসদ তহবিলের বাইরে সাংসদ হিসেবে অমেঠী-রায়বরেলীতে আর কিছু করতে পারেন না রাহুল-সনিয়া। অমেঠীতে গিয়ে রাহুল নিজেই সে অভিযোগ করেছেন। বিজেপি যদি মনে করে, উন্নয়ন হয়নি, তা হলে তার দায় তো তাদেরই। বিজেপির পাল্টা বক্তব্য, অমেঠী-রায়বরেলী বরাবরই কংগ্রেসের গড়। এই দুই কেন্দ্রে ইন্দিরা গাঁধী, রাজীব গাঁধীও সাংসদ ছিলেন। তাতেও উন্নয়ন হয়নি।

বিজেপি এক সূত্রের মতে, দলের সভাপতি অমিত শাহ ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন, রাহুলের মোকাবিলায় অমেঠী আর রায়বরেলীর দৃষ্টান্তই বাকি রাজ্যে তুলে ধরতে। এই দুই কেন্দ্রে গাঁধী পরিবারের সদস্যদের জেতানোর জন্য মায়াবতী, অখিলেশ কোনও প্রার্থী না-ও দিতে পারেন। রায়বরেলীতে সনিয়া ফের দাঁড়াবেন কি না, সেটিও এখনও নিশ্চিত নয়। রাহুলই একবার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, অসুস্থতার কারণে সনিয়া ভোটে লড়তে রাজি না হলে প্রিয়ঙ্কাও প্রার্থী হতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে এই দুই কেন্দ্রে বিজেপিকে সর্বশক্তি দিয়ে নামতে হবে।

জেটলি রায়বরেলীতে যাবেন নভেম্বরের গোড়ায়। তাঁর সাংসদ তহবিলের অর্থ একটি স্টেডিয়াম, বিশ্ববিদ্যালয়, সৌর-পাম্প তৈরিতে খরচ হবে। কিছু অসম্পূর্ণ কাজও শেষ করা হবে এই টাকায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE