মনদীপ সিংহ ও প্রেরণা। ছবি— সংগৃহীত
পাক সেনারা সীমান্ত টপকে এসে তাঁর স্বামীর দেহ ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছিল। কেটে নিয়েছিল মাথা। মাস ছ’য়েক আগের সেই ঘটনায় শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ।
নয়াদিল্লি আর ইসলামাবাদের মধ্যে সম্পর্কের উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল সেই ঘটনা। নিহত সেই ভারতীয় জওয়ান মনদীপ সিংহের স্ত্রী প্রেরণাকে রীতিমতো অপমান আর অসম্মান করার অভিযোগ উঠল হরিয়ানা সরকারের বিরুদ্ধে। প্রেরণা হরিয়ানা পুলিশের একজন সাব ইন্সপেক্টর। অভিযোগ, কোনও দিন তিনি মনদীপের ভাইকে বিয়ে করবেন না, এই মর্মে মুচলেকা দেওয়ার পরই তাঁর চাকরিতে পদোন্নতি সম্ভব বলে শর্ত দিয়েছে হরিয়ানার বিজেপি সরকার।
মনদীপ সিংহকে শেষ শ্রদ্ধা। —ফাইল চিত্র
মনদীপের মৃত্যু পর তাঁর পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ, পরিবারের একজনের চাকরি এবং শহিদ জওয়ানের স্ত্রী প্রেরণাকে সাব-ইন্সপেক্টর থেকে ইন্সপেক্টর পদে উন্নতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল হরিয়ানা সরকার। সেই মতো পদোন্নতির আবেদন করেছিলেন প্রেরণা। কিন্তু এর পরই তাঁকে চিঠি দিয়ে মুচেলকা দেওয়ার কথা বলা হয়। প্রথমে সব অভিযোগ উড়িয়ে দেয় মনোহর লাল খাট্টার প্রশাসন। তবে ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় শেষ পর্যন্ত খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে হরিয়ানা সরকার।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে নিহত রাজ্যের জওয়ান
প্রেরণার অভিযোগ, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের হরিয়ানা সফরের সময় তাঁকে নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পাছে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে কিছু বলার সুযোগ পেয়ে যান। তাঁর কথায়, “মনদীপের মৃত্যুর পরই হরিয়ানা সরকার আমাকে ইন্সপেক্টর পদে উন্নীত করার কথা ঘোষণা করেছিল। সেই মতো আমি আবেদনও জানিয়েছিলাম। তাঁর পরই পুলিশের পক্ষ থেকে মুচলেকা দেওয়ার কথা জানান হয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy