হিমন্তবিশ্ব শর্মা
আঁচড় কাটল না নাগরিকত্ব সংশোধনীর বিরুদ্ধে চলা আন্দোলন। এনআরসির বিরুদ্ধে তৃণমূলের জেহাদও অসার প্রমাণিত হল অসমের পঞ্চায়েত নির্বাচনে। অন্যদের
পিছনে ফেলে অনেকটাই এগিয়ে বিজেপি। আর সেই বিজয় উৎসব উদ্যাপনের সময়েই রাজ্যের অর্থমন্ত্রী, বিজেপি নেতা হিমন্তবিশ্ব শর্মা রাজনৈতিক অবসরের ইঙ্গিত দিলেন। জানালেন, পরের বিধানসভা ভোটে তিনি লড়বেন না।
পঞ্চায়েত ভোটে দু’নৌকায় পা দিয়ে চলার খেসারত দিয়ে অগপর হাতছাড়া হল একের পর এক পঞ্চায়েত। অন্য দিকে, অগপকে একলা লড়তে পাঠিয়ে বিজেপিও তাদের বুঝিয়ে দিল, একলা লড়ে রাজ্যের ক্ষমতা দখলের শক্তি এখনও অগপর হয়নি। প্রায় বিধানসভা ভোটের মতোই জোরদার প্রচার চালিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল ও অর্থমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। প্রথমে মিজোরমকে কংগ্রেস মুক্ত করা এবং রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে ভাল ফল নিশ্চিত করার পরে হিমন্ত আজ বলেন, ‘‘শরীর আর ধকল নিতে পারছে না। সেই ১৯৯৬ সাল থেকে নির্বাচনে লড়ছি। এ বার বিশ্রাম চাই। পরের বিধানসভা ভোটে আর লড়ব না।’’ অবশ্য সেই
সঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন, ‘‘যদি দল চায়, তবে ভোটে না লড়লেও দলের কাজ চালিয়ে যাব।’’ ৪৯ বছর বয়সী হিমন্ত আগেই
জানিয়েছেন, ৬০ বছর বয়সে রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেবেন।
প্রথমবার অসমের পঞ্চায়েত ভোটে লড়তে নেমে ৯ জেলায় ১০৭ জন প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়করা প্রচুর জনসভা করেছেন বরাক-ব্রহ্মপুত্রে। কিন্তু হিন্দু প্রধান এলাকায় বিজেপির বিরুদ্ধে হিন্দু বাঙালি খেদানোর চক্রান্ত তুলে ধরে তৃণমূল বা কংগ্রেস যে প্রচার চালিয়েছিল, তাতে সাড়া মেলেনি।
গোলাঘাটে অগপর টিকিটে ভোটে লড়তে নেমে এক চোরাশিকারি হারলেও বিশ্বনাথের চোয়াগুড়িতে কংগ্রেসের টিকিটে লড়া চোরাশিকারী দিলওয়ার হুসেন পঞ্চায়েত সভাপতি পদে জিতেছে।
বাঙালি অধ্যুষিত বরাক উপত্যকার তিন জেলায় মিশ্র ফলাফল। কাছাড়ে বিজেপির জেলা পরিষদ গঠন নিশ্চিত। অন্য দিকে, করিমগঞ্জে কংগ্রেস নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে। আর হাইলাকান্দিতে এগিয়ে এআইইউডিএফ। উপত্যকার তিন জেলার ভোটার তিন দলের হাতে পঞ্চায়েত রাজ তুলে দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy