পদত্যাগ না করলেও, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অঞ্জন দত্তকে অগ্রাহ্য করে তাঁর পাঠানো শো-কজ নোটিশের জবাব সরাসরি সনিয়া গাঁধীর কাছে পাঠালেন অসম কংগ্রেসের তিন সাধারণ সম্পাদক রানা খান, আদিল শাহ ও বলিন কুলি।
জবাবি চিঠিতে তাঁরা লিখেছেন, ‘‘২৪ মে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে হাইকম্যান্ডের দ্বারস্থ হওয়ার পর থেকেই তাঁদের বিরুদ্ধে অঞ্জন দত্ত খড়্গহস্ত। দলের প্রবীণ নেতাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে গালমন্দ করছেন অঞ্জন বাবু ও তাঁর সঙ্গী নেতারা। প্রবীণ নেতা হিরণ্য বরার সঙ্গে থাকায় এবং সারদা কেলেঙ্কারিতে অঞ্জনবাবুর জড়িয়ে পড়া ও তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় অঞ্জনবাবু আমাদের কারণ দর্শাবার নোটিশ পাঠিয়েছেন। আমরা অঞ্জনবাবুর নেতৃত্বে আস্থা রাখতে পারছি না। আমরা জানি, সেখানে আমরা ন্যায় বিচার পাব না। তাই সব ঘটনা বিচারের জন্য আপনাকেই (সনিয়া গাঁধী) সরাসরি আমাদের বক্তব্য জানাচ্ছি।’’ তাঁরা জানান, ‘‘সনিয়া ও রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বে তাঁদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তাঁরা কংগ্রেসের বিশ্বস্ত কর্মী। তিন সাধারণ সম্পাদক তাঁদের জবাব সনিয়া গাঁধীকে পাঠাবার পাশাপাশি রাহুল গাঁধী, অসমের পর্যবেক্ষক সি পি যোশিকেও তার কপি পাঠিয়েছেন। এর প্রতিলিপি পাঠানো হয় প্রদেশ কংগ্রেসকে।
গত কাল হিরণ্য বরা ও দিগন্ত কলিতার পদত্যাগ ও আজ তিন সাধারণ সম্পাদকের জবাব নিয়ে অঞ্জনবাবু বলেন, তিনি যা বলার তা হাইকম্যান্ডকেই জানাবেন। তবে তিন সাধারণ সম্পাদককে তিনি আরও এক সপ্তাহ সময় দিয়েছেন বলে অঞ্জনবাবু জানান। রানাবাবু বলেন, ‘‘আমরা যা বলার সাফ বলে দিয়েছি। তারপরেও ফের আমাদের ৭ দিন সময় কেন দেওয়া হল, কিছুই বুঝতে পারছি না’’ দলের ভাঙন নিয়ে আজ অঞ্জনবাবু প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে একটি বৈঠক করেন। পরে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের সঙ্গেও বৈঠক করেন। প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি তথা মুখপাত্র রিপুন বরা বলেন, ‘‘কংগ্রসে আগেও এই ধরণের অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। কংগ্রেস দল সব পরিস্থিতি সামলাতে প্রস্তুত। বিক্ষিপ্ত বিদ্রোহে দলের কোনও ক্ষতি হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy