ফাইল ছবি।
নাগরিকত্ব বিল বাতিল না করা পর্যন্ত অসমের কটন বিশ্ববিদ্যালয় ও ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকাল ক্লাস বয়কটের ডাক দিল ছাত্র সংগঠন। অন্য কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়কেও ক্লাস বয়কটের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে তারা। গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক সংগঠনও প্রতিবাদে নামে। যোরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও রাজ্যের বিভিন্ন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা এ দিন প্রতিবাদ জানান। নাগরিকত্ব সংশোধনী নিয়ে আজও অসম উত্তাল। আজ অসম গণ পরিষদের তিন মন্ত্রী ও বিভিন্ন সংস্থার প্রধান পদে থাকা অগপ নেতা-বিধায়করা ইস্তফা দিয়েছেন।
গতকাল লোকসভায় বিলটি পাশ করানোর পর আজ রাজ্যসভায় বিল পাশ করানোর কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেখানে বিল পেশ করা হয়নি। বিল নিয়ে রাজনাথ রাজ্যসভায় একটি বিবৃতি দেন। সেখানে তিনি কার্যত তাঁর গতকালের লোকসভার বক্তব্যেরই পুনরাবৃত্তি করেন।
শুধু অসম নয়, নাগরিকত্ব বিল ঘিরে উত্তর-পূর্বের অন্য তিন রাজ্যেও চাপের মুখে বিজেপি। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির (এনপিপি) সভাপতি কনরাড সাংমা জানান, সংশোধনীর প্রতিবাদে মেঘালয় বিধানসভা সর্বসম্মত প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল। এনপিপি কোনও মতেই সংশোধনী মানবে না। মণিপুরের শাসক জোটেও বিজেপির ২১ বিধায়কের পাশাপাশি এনপিপির চার বিধায়ক আছেন। উত্তর-পূর্বের পাঁচ রাজ্য থেকে এনপিপি নেতাদের ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকে বিজেপি, নেডা ও এনডিএর সঙ্গে সম্পর্ক রাখা হবে না ছিন্ন করা হবে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন কনরাড।
নাগাল্যান্ড মন্ত্রিসভাও সংশোধনীর বিরুদ্ধে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। মিজোরামে বিজেপির সমর্থনে ভোট লড়লেও একাই ২৬ আসন পেয়ে সরকার গড়েছে এমএনএফ। তারাও সংশোধনীর বিরুদ্ধে। বিল প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত অসমে আন্দোলন চলবে বলে ঘোষণা করেছেন ৭০টি সংগঠনের যৌথ মঞ্চের নেতা অখিল গগৈ। আজ জনতা ভবনের সামনে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালায় পুলিশ। আহ্বায়ক অখিল গগৈ জানান, আগামিকাল থেকে রাজ্যে অর্থনৈতিক অবরোধ ও আইন অমান্য আন্দোলন শুরু করবেন তাঁরা। রাজ্যের তেল, কয়লা, চা-সহ কোনও সামগ্রী বাইরে যেতে দেওয়া হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy