নাগরিকপঞ্জিতে নাম উঠেছে কিনা, তা জানার চেষ্টা। —ফাইল চিত্র
নাগরিক পঞ্জির খসড়া তালিকায় নাম না-থাকলেও আপাতত ভোট দেওয়া যাবে। নির্বাচন কমিশন আজ জানিয়েছে, খসড়া তালিকায় নাম না-থাকলেও এখনই ভোটাধিকার হারাচ্ছেন না কেউ। তবে, চূড়ান্ত নাগরিক পঞ্জির ভিত্তিতে জানুয়ারি মাসে সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন। তবে চূড়ান্ত এনআরসি-তেও যাঁদের নাম থাকবে না, তাঁরা নাগরিকত্ব হারানোর কারণে ভোটাধিকারও হারাবেন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও পি রাওয়ত এ দিন বলেন, ‘‘চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হওয়ার আগে কারও নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে না। তাই আশঙ্কার কোনও কারণ নেই।’’
অসমে খসড়া নাগরিক পঞ্জিতে বাদ পড়েছেন প্রায় ৪০ লক্ষ বাসিন্দা। প্রশ্নে ওঠে, বাদ যাওয়া বাসিন্দারা কি ভোট দিতে পারবেন? তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বলেন, ‘‘তালিকা প্রকাশের পরে এঁরা তো আর এ দেশের নাগরিকই নন। তা হলে ভোটও দিতে পারবেন না!’’ সরব হন অন্য দলের সাংসদেরাও।
বিষয়টি নিয়ে আজ অবস্থান স্পষ্ট করে নির্বাচন কমিশন। বলা হয়, এটি খসড়া তালিকা। তাই এখনই কাউকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে না। তবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ওই সময়ের মধ্যে নাম তোলার একাধিক সুযোগ পাবেন বাদ যাওয়া নাগরিকেরা। কমিশন সূত্র জানিয়েছে, চূড়ান্ত তালিকার ভিত্তিতেই তৈরি হবে সংশোধিত ভোটার তালিকা। তা প্রকাশিত হবে ৪ জানুয়ারি। নাগরিক পঞ্জির চূড়ান্ত তালিকায় যাঁদের নাম থাকবে, তাদের নাম সংশোধিত ভোটার তালিকায়ও থাকবে। তার ভিত্তিতে লোকসভা নির্বাচনে ভোট দেওয়া যাবে। তবে কমিশন জানিয়েছে, ভোটার হতে গেলে তিনটি আবশ্যিক শর্তের মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল সেই ব্যক্তিকে ভারতের নাগরিক হতে হবে। চূড়ান্ত নাগরিক পঞ্জিতে নাম না-থাকার অর্থ, ওই ব্যক্তি ভারতের নাগরিক নন। তাই তিনি ভোটাধিকারও হারাবেন।
আরও পড়ুন: গুয়াহাটির হাজার হাজার বাঙালির চোখে নাগরিক-আশঙ্কা
খসড়া এনসিআর প্রকাশিত হওয়ার পরে কত জনের নাম বাদ পড়ল, তা জানতে চেয়ে অসমের নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রাথমিক রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, চূড়ান্ত তালিকায় বাদ পড়া নাগরিকদের মধ্যে যাঁরা ট্রাইবুন্যালে আবেদন জানাবেন বা আদালতের স্থগিতাদেশ জোগাড়ে সমর্থ হবেন, তাঁরা ভোট দিতে পারবেন।
কিন্তু চূড়ান্ত এনআরসি প্রকাশে দেরি হলে? রাওয়ত বলেন, ‘‘সে ক্ষেত্রে পুরনো তালিকা অনুযায়ীই লোকসভার ভোট হবে অসমে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy