কাজিরাঙার গন্ডার হত্যায় জড়িয়ে গেল অসমের এক প্রাক্তন মন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের নাম। চেন্নাই থেকে ধৃত দুই চোরাশিকারিকে গত রাতে নিজে জেরা করার পরে বনমন্ত্রী প্রমীলারানি ব্রহ্ম বলেন, ‘‘শিকারিরা জেরায় জানিয়েছে, শিকারের ঘটনায় কংগ্রেসের এক প্রাক্তন মন্ত্রী জড়িত।’’ সরকারি ভাবে অভিযুক্ত মন্ত্রীর নাম জানানো না হলেও, ধৃতরা সাংবাদিকদের জানায়, তাঁর নাম নূরজামাল সরকার। ধৃত দুই শিকারি মহম্মদ নূর কাসেম (৩৩) ও মকবুল আলিকে (২৪) উটির কাছে কুন্নুর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
নূরজামালের দাবি, তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এই চক্রান্ত। এই ঘটনায় তিনি সিবিআই ও এনআইএ তদন্ত দাবি করে জানান, তিনি অন্তত ২০ জন চোরাশিকারিকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। শিকার বিরোধী শিবিরের আয়োজনও করেছেন।
পুলিশ জানায়, ৩ অগস্ট কাজিরাঙার বিশ্বনাথের আমকঠনি শিবিরের কাছে বন্যার সুযোগ নিয়ে একটি স্ত্রী গন্ডার ও তার শাবককে হত্যা করেছিল শিকারিরা। প্রমীলারানি বলেন, ‘‘শিকারিরা জেরায় জানিয়েছে, আগের সরকারের আমলের এক মন্ত্রী, তাঁর দেহরক্ষী ও আত্মীয় গন্ডার হত্যার চক্রে জড়িত। ওই মন্ত্রীর কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়েছিল তারা। তা শোধ দিতে না পারায় মন্ত্রী বলেন টাকা না দিলে গন্ডারের খড়্গ এনে দিতে হবে।’’ প্রমীলারানির কথায়, ‘‘টাকার জন্য পূর্ণবয়স্ক গন্ডার মারতে পারে শিকারিরা। কিন্তু বুঝলাম না, শিশুটিকেও কেন হত্যা করল ওরা? সমাজ ও রাজনীতির একেবারে উপরের স্তরে থাকা মানুষের এমন ন্যক্কারজনক ভূমিকা আশা করা যায় না। তদন্ত চলবে। যারা দোষী, সকলেই শাস্তি পাবে। প্রাক্তন মন্ত্রীও পার পাবেন না।’’ কংগ্রেসেরও বক্তব্য, তদন্তে সত্য বেরিয়ে আসবে। আইন আইনের পথে চলবে।
আজ সকালে পুলিশ দু’জনকে কাজিরাঙার ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, শিকারিরা জানিয়েছে, প্রাক্তন মন্ত্রীর দেহরক্ষী অস্ত্র সরবরাহ ও খড়্গ পাচারে জড়িত। গন্ডার মারার পরে খড়্গটি এক দেহরক্ষীর হাতেই দেওয়া হয়। তিনি সেটি গুয়াহাটি হয়ে শিলিগুড়ি নিয়ে যান বলে শিকারিদের দাবি। রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল বিকাশ ব্রহ্ম জানান, মকবুল আগেও শিকার করেছে। পুলিশের কাছে একবার আত্মসমপর্ণও করেছিল সে। কেন, কোন পরিস্থিতিতে তারা গন্ডার শিকার করল—তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy