Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

কৃষিঋণ মাল্য-নীরব, অম্বানীদের টাকায় মাফ হবে: রাহুল  

পাঁচ রাজ্যে ভোটের পর্বে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে আক্রমণকে আরও চড়া মাত্রায় তুলে দিল কংগ্রেস। ছত্তীসগঢ়ে দ্বিতীয় দথা শেষ দফার ভোটের প্রচারে রাহুল গাঁধী কথা দিলেন, রাজ্যে ক্ষমতায় আসার দশ দিনের মধ্যে কৃষকদের সব ঋণ মাফ করবে কংগ্রেস। 

প্রত্যয়ী: নির্বাচনী প্রচারে রাহুল গাঁধী। শনিবার ছত্তীসগঢ়ের জশপুর জেলায়। পিটিআই

প্রত্যয়ী: নির্বাচনী প্রচারে রাহুল গাঁধী। শনিবার ছত্তীসগঢ়ের জশপুর জেলায়। পিটিআই

সংবাদ সংস্থা
রায়পুর শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:১২
Share: Save:

পাঁচ রাজ্যে ভোটের পর্বে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে আক্রমণকে আরও চড়া মাত্রায় তুলে দিল কংগ্রেস। ছত্তীসগঢ়ে দ্বিতীয় দথা শেষ দফার ভোটের প্রচারে রাহুল গাঁধী কথা দিলেন, রাজ্যে ক্ষমতায় আসার দশ দিনের মধ্যে কৃষকদের সব ঋণ মাফ করবে কংগ্রেস।

কোথা থেকে আসবে সেই টাকা?

রাহুলের দাওয়াই, টাকা আসবে বিজয় মাল্য, নীরব মোদী, অনিল অম্বানীদের মতো লোকেদের কাছ থেকে। দেশের কৃষকদের ঠকিয়ে মোদী যাঁদের পকেট ভরেছেন, এমনকি বিদেশে পালিয়ে যেতে দিয়েছেন। ছত্তীসগঢ়ের একাধিক সভায় কংগ্রেস সভাপতি মনে করালেন, মাল্য ব্যাঙ্কগুলি থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পালিয়েছেন। নীরব ও মেহুলরা নিয়ে গিয়েছেন ৩৫ হাজার কোটি। আর রাফাল কেলেঙ্কারির মাধ্যমে মোদী তাঁর বন্ধু অনিল অম্বানীর পকেটে তুলে দিয়েছেন ৩০ হাজার কোটি টাকা। রাহুল টুইটারেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘‘মোদীজি কৃষকদের অপমান করবেন না।’’

নোটবন্দি নিয়ে সমালোচনার জবাবে মোদী কাল কটাক্ষ ছুড়েছেন, আর কেউ নয়, শুধু একটি পরিবারই কেঁদে চলেছে নোটবন্দি নিয়ে। কারণ, তাদের বিছানা-বালিশের নীচে লুকোনো কালো টাকা খোয়া গিয়েছে। এর জবাবে রাহুল টুইট করেছেন, ‘‘আপনি কি মাল্য, মেহুল ভাই, নীরব মোদীকে গম চাষ করতে দেখেছেন? মোদীজি কৃষকদের অপমান করবেন না। একে তো আপনি নোটবন্দি করে কৃষকদের টাকা মেরে দিয়ে তা স্যুট-বুটওয়ালা বন্ধুদের হাতে তুলে দেওয়ার কেলেঙ্কারি করেছেন। এখন আবার কৃষকদের জমানো অর্থকে কালো টাকা বলছেন! কিষাণের এই অপমান, সইবে না হিন্দুস্থান।’’

মোদীর অভিযোগ, স্বাধীনতার পর থেকে বেশির ভাগ সময় ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। দেশের উন্নয়ন নয়, রাহুলের দাদু-দিদাদের (নানা-নানি) সমৃদ্ধিই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। পাল্টা আক্রমণে কংগ্রেসের কপিল সিব্বল আজ মোদীকে উদ্দেশ করে টুইট করেছেন, ‘‘রাহুলজির কাছে মোদীজি জানতে চান, আপনার দাদু-দিদা-নানা-নানি কি জলের পাইপলাইন পেতেছিলেন? আপনার ছোটবেলায় দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু দেশে আধুনিক শিল্পের ভিত গড়ছিলেন। আর আপনাদের দলের নানা-নানি-দাদু-দিদারা ব্রিটিশ জমানায় সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন।’’

মোদীর মতে, গাঁধী পরিবারকে ক্ষমতায় রাখাই কংগ্রেসের একমাত্র লক্ষ্য। মোদীর ওই দাবি নস্যাৎ করতে পি চদম্বরম আজ একাধিক টুইট করেন। নেহরু-গাঁধী পরিবারের নন, অতীতের এমন ১৫ জন কংগ্রেস সভাপতির নামের তালিকা তুলে ধরেন। লেখেন আচার্য কৃপালনী, জগজীবন রাম, সঞ্জীব রেড্ডি, নিজলিঙ্গাপ্পা... এঁরা কেউ গাঁধী ছিলেন না। স্বাধীনতা-উত্তর যুগে বি আর অম্বেডকর, লালবাহাদুর শাস্ত্রী, কামরাজ, মনমোহন সিংহের মতো নেতাদের নিয়েও কংগ্রেস গর্বিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE