Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

রাতারাতি ভোটবৃদ্ধি! প্রশ্ন তুলছে কংগ্রেস

ছত্তীসগঢ় প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র শৈলেশ নিতিন ত্রিবেদীর যুক্তি, “এর দু’টি দিক রয়েছে। মাওবাদী অধ্যুষিত কেন্দ্রগুলিতে ভোটগ্রহণের শেষে ইভিএম ঠিকমতো সিল করা হয়নি বলে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। ফলে রাতারাতি দু’দিন পরে ভোটের হার কী করে বেড়ে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আর যদি সত্যিই মানুষ এত বেশি পরিমাণে ভোট দিয়ে থাকেন, তার অর্থ, তাঁরা পরিবর্তন চান।” 

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বিলাসপুর শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৫:০৫
Share: Save:

ছিল ৭০ শতাংশ। হয়ে গেল ৭৬ শতাংশ।

ছত্তীসগঢ়ে গত ১২ নভেম্বর প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ মিটে যাওয়ার পরে, সেই রাতেই নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, সব মিলিয়ে ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে। সে দিনের ১৮টি আসনের মধ্যে মাওবাদী-অধ্যুষিত এলাকার ১০টি বিধানসভা আসনে ভোট পড়েছে গড়ে ৬০ শতাংশ। দু’দিন পরে নির্বাচন কমিশন জানাল, সব মিলিয়ে ভোট পড়েছে ৭৬.৩ শতাংশ। যা ২০১৩-র বিধানসভার সামগ্রিক ভোটের হারের থেকেও বেশি।

এতেই প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। ছত্তীসগঢ় প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র শৈলেশ নিতিন ত্রিবেদীর যুক্তি, “এর দু’টি দিক রয়েছে। মাওবাদী অধ্যুষিত কেন্দ্রগুলিতে ভোটগ্রহণের শেষে ইভিএম ঠিকমতো সিল করা হয়নি বলে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। ফলে রাতারাতি দু’দিন পরে ভোটের হার কী করে বেড়ে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আর যদি সত্যিই মানুষ এত বেশি পরিমাণে ভোট দিয়ে থাকেন, তার অর্থ, তাঁরা পরিবর্তন চান।”

ভোটগ্রহণের রাতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, মাওবাদী-অধ্যুষিত নারায়ণপুরে ভোট পড়েছে ৪০ শতাংশের মতো। শেষ হিসেবে তা-ই বেড়ে হয়েছে ৭৪ শতাংশের বেশি। বিজাপুর, বস্তার, কোন্টা, সর্বত্রই ভোটের হার বেড়েছে। কমিশনের যুক্তি, দুর্গম এলাকা থেকে প্রিসাইডিং অফিসারেরা পৌঁছনোর পরে চূড়ান্ত হিসেব হয়েছে। কংগ্রেস জানিয়েছে, স্থানীয় স্তর থেকে অভিযোগ জমা করে প্রয়োজনে তারা কমিশনে নালিশ জানাবে।

মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহের অবশ্য যুক্তি, সরকারের কাজে খুশি জনতা মাওবাদীদের বয়কটের ডাক নাকচ করে ভোট দিয়েছেন। এর ফলে বিজেপি ওই ১৮টির মধ্যে অন্তত ১৪টি আসনে জিতবে বলে তাঁর দাবি। এখন যার ১২টিই কংগ্রেসের দখলে। প্রথম দফায় কংগ্রেসকে ‘টেক্কা দেওয়ায়’ রাজ্যে বিজেপিই ফের সরকার গড়বে দাবি করছেন রমন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE