Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
madhya pradesjh

ধুন্ধুমার যুদ্ধ মধ্যপ্রদেশে, বিজেপি-কংগ্রেসে জোর টক্কর

ম্যাজিক ফিগারের খুব কাছাকাছি শেষ করতে চলেছে কংগ্রেস। আর তাদের চেয়ে গোটা দশেক আসন পিছনে থামতে চলেছে শিবরাজ সিংহ চৌহানের রথ।

ঈশানদেব চট্টোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ ১১:৫৩
Share: Save:

ধুন্ধুমার সংগ্রামের ইঙ্গিত ছিল প্রচার পর্বে। মঙ্গলবার সকালে ভোটযন্ত্র খোলার পরেও সেই আঁচই দিতে শুরু করল ‘হিন্দুস্তান কা দিল’। মধ্যপ্রদেশের রণাঙ্গণে জোরদার টক্কর বিরোধী কংগ্রেস এবং ১৫ বছর ধরে ক্ষমতাসীন বিজেপির মধ্যে। কখনও এগিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেস। কখনও টেক্কা দিচ্ছে বিজেপি। তবে দুই দলের ভোটপ্রাপ্তির গতিপ্রকৃতি যে রকম, তা বহাল থাকলে ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে পারবে না কোনও দলই। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সবচেয়ে কাছাকাছি থামবেন কে? শিবরাজ সিংহ চৌহান, নাকি কমল নাথ-জোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া জুটি? গোটা দেশের নজর সে দিকে।

২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় গত নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ১৬৫টি আসন। কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছিল ৫৮টি। কিন্তু বছর দুয়েক ধরে নানা উপনির্বাচন এবং স্থানীয় স্তরের নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশের জনতা ইঙ্গিত দিচ্ছিল কংগ্রেসের পুনরুত্থানের। ফলে বিধানসভা নির্বাচনে ধুন্ধুমার যুদ্ধই প্রত্যাশিত ছিল। ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল এখনও আসেনি। কিন্তু কংগ্রেসের আসনসংখ্যা যে আগের বারের প্রায় দ্বিগুণ হতে চলেছে, তা নিয়ে সংশয় কমই।

১১৬টি আসন পেলে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা মেলে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায়। বিজেপি বা কংগ্রেস— কোনও দলই ১১৬ বা তার বেশি সংখ্যক আসনে এগিয়ে নেই। কিন্তু সকাল ১০টার পর থেকে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক ধরে কংগ্রেস প্রার্থীরা এগিয়ে ছিলেন কমবেশি ১১০-এর মতো আসনে। আর বিজেপি ঘোরাফেরা করছিল ১০০ থেকে ১০৫-টির মধ্যে।

আরও পড়ুন: লাইভ: রাজস্থান-মধ্যপ্রদেশ-ছত্তীসগঢ়ে এগিয়ে কংগ্রেস, তেলঙ্গানায় টিআরএস এগিয়ে​

সাড়ে ১১টার পর থেকে ফলাফলের গতিপ্রকৃতিতে ফের সামান্য বদল হয়েছে। কংগ্রেসকে কিছুটা পিছনে ফেলে ফের এগিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিতে শুরু করেছে বিজেপি। তবে বিভিন্ন আসনে এগিয়ে থাকার নিরিখে দু’দলের মধ্যে ব্যবধান ঘোরাফেরা করছে ১-১০টি আসনের মধ্যে।

এই প্রবণতা বহাল থাকলে কোনও দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। মায়াবতীর দল বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) এবং সপাক্স পার্টির মতো ছোটখাটো দলগুলি সে ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। ৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিএসপি। মাস তিনেক আগে তৈরি হওয়া সপাক্স পার্টিও বেশ কিছু আসনে এগিয়ে রয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সুরজিত্ ভাল্লা​

বিএসপি-র সমর্থন বিজেপির দিকে যাওয়া খুব কঠিন। দলিত জনগোষ্ঠীই যে দলের মূল ভিত্তি, বিজেপি-র সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে সরকার তৈরি করা সেই দলের পক্ষে স্বাভাবিক কারণেই কঠিন, মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। কিন্তু সপাক্স পার্টি বা অন্য ছোট দলগুলির পক্ষে বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধাও কঠিন নয়। তাই কয়েকটা আসনের জন্য ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছনো আটকে গেলেও, সরকার গড়ার দৌড়ে দু’দলই থাকবে। পাঁচ রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন লড়াই মধ্যপ্রদেশেই দেখা যাচ্ছে।

ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদেরদেশবিভাগে ক্লিক করুন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE