Mizoram Election
পায়ে ফুটবল। পকেটে টাকা। আর মনে আবেগ। এই নিয়েই সবুজ মাঠের লড়াইকে শেষ পর্যন্ত ভোটের ময়দানে টেনে এনেছেন মিজোরামের রবার্ট রোমাইয়া রয়তে ওরফে ‘ট্রিপল আর’। ২০১৬-১৭ সালের আইলিগ জিতে গোটা দেশকে চমকে দিয়েছিল আইজল এফসি। সেই দলেরই মালিক রয়তে। নিজের পরিচয় ‘ট্রিপল আর’ বলেই দিতে ভালবাসেন। মিজো ফুটবলের মুখ, সুপার বাইক আর তীব্রগতির গাড়ি নিয়েই জীবন তাঁর। শাসক দল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এবার মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টের (এমএনএফ) অন্যতম তারকা প্রার্থী রয়তে লড়ছেন পূর্ব আইজল-২ নম্বর আসন থেকে।
রয়তের দাবি, ‘‘উত্তর-পূর্বে ফুটবল ধুঁকছে। মিজোরামে কিন্তু সবচেয়ে বড় শিল্পই হল ফুটবল। তাই আমি আগে একজন ফুটবল-ব্যবসায়ী, পরে ফুটবলার। ফুটবল খেলিয়ে আমি লাভের মুখ দেখছি। কিন্তু রাজ্যের বাকি শিল্প তো লোকসানে চলছে।’’ মিজোরামের ফুটবলাররা বরাবরই কলকাতা-সহ দেশের বিভিন্ন ময়দান কাঁপিয়েছেন। তা সত্ত্বেও আলোয় আসেনি মিজোরাম। আইলিগ জয়, আইলিগের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গোলদাতা হওয়া জেজে এবং টিম মালিক রয়তে সেই ছবিটাই বদলে দিয়েছেন। তাঁর নির্মাণ ও কনসালটেন্সি ফার্মের বাৎসরিক মুনাফা একশ কোটি টাকারও বেশি।
রয়তের কথায়, মিজোরামে ফুটবল ধর্মের মতোই। তাই মিজো ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের দফতর একেবারে রাজভবন ও বিধানসভা ঘেঁষা। কিন্তু তারপরেও সেখানে কোনও ভাল স্টেডিয়াম ছিল না। ২০১২ সালে আইজল এফসির দায়িত্ব নেওয়ার পরে রয়তে শুধু মিজোরাম ও ত্রিপুরায় ১০টি অ্যাকাডেমিই খোলেননি, পাশের দেশ মায়ানমারের তাহানেও তাঁর ফুটবল অ্যাকাডেমি তৈরি হয়েছে। ক্লাব ফুটবলে কর্পোরেট রীতিনীতি আমদানি করেন রয়তে। শুরু হয় পেশাদার ফুটবল। এখন মিজোরামে বছরে ৩০০ ফুটবলারের সমৃদ্ধ ভাণ্ডার সব সময় তৈরি থাকে। রয়তে জানান, তিনি বাইরে থেকে বড় ফুটবলার কিনতে আগ্রহী নন। ঘরের ছেলেদের বড় ফুটবলার বানানোই তাঁর লক্ষ্য। আইজল এফসির ৯০ শতাংশ ফুটবলারই মিজো। ৫১ বছরের রয়তের কাছ থেকে রাজ্যের সব ফুটবল ক্লাব সাহায্য পায়। পূর্ব আইজল-২ আসনটি তো রাজ্য ফুটবলের আঁতুড়ঘর। সেখানকার ক্লাবগুলি বরাবরই ‘ট্রিপল আর’-এর ফ্যান। তাই ভোটের মাঠে জিততেও ফুটবলই তাঁর বড় ভরসা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy