প্রধানমন্ত্রী। ছবি: পিটিআই।
ভোট এলেই দলের প্রচারে তুরুপের তাস হন তিনি। অথচ, সেই নরেন্দ্র মোদীর প্রতিই অনাস্থা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল পাঁচ রাজ্যের ভোট। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার করা সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, মোদী যে সব কেন্দ্রে প্রচারে গিয়েছেন, তার অন্তত ৭০ শতাংশ আসনে হেরে গিয়েছে দলের প্রার্থীরা। লোকসভা ভোটের আগে যা বিজেপির উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
পাঁচ রাজ্যের ৮০টি বিধানসভা কেন্দ্রের ৩০টি জায়গায় প্রচারে যান মোদী। বিজেপি জিতেছে এর ২৩টিতে। এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে ৫৪টি বিধানসভা এলাকায় প্রধানমন্ত্রী ২২টি জনসভা করেছিলেন। ৫৪টির মধ্যে দল জিতেছে ২২টিতে। ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানা ও মিজোরামে প্রতি ২৬টি বিধানসভা পিছু একটি করে আসন জিতেছে বিজেপি। অথচ, তিন রাজ্যে মোট আটটি জনসভা করেছিলেন মোদী।
মোদী ছাড়াও বিজেপির প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার ছিলেন হিন্দুত্বের মুখ যোগী আদিত্যনাথ। তাঁকে গো-বলয়ের তিন রাজ্য মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তীসগঢ় ছাড়াও তেলঙ্গনায় প্রচারে নামিয়েছিল দল। চারটি রাজ্যে ৫৮টি জনসভা করেন যোগী। দল জেতে ২৭টি আসনে। এ সব তথ্য থেকেই স্পষ্ট, যোগীর হিন্দুত্বের সুড়সুড়ি কিংবা মোদীর উন্নয়নের ঢক্কানিনাদ ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারেনি। যদি বিজেপির এক নেতা বলছেন, ‘‘তিন রাজ্যে দল ক্ষমতায় ছিল। মানুষের মধ্যে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা গড়ে উঠেছিল। মানুষ রাজ্য স্তরে পরিবর্তন চেয়েছে। তাই সরকার পাল্টেছে।’’ তাঁর মতে, অতীতে অনেক হেরে যাওয়া আসন মোদীর প্রচারের কল্যাণে জিতেছে দল। আজও তিনিই দলের তারকা প্রচারক। গত লোকসভা ভোটে মোদীকে দেখেই বিজেপিকে ক্ষমতায় এনেছে মানুষ। সেই নেতাই জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন কিনা, লোকসভা ভোটের ফলেই তা বোঝা যাবে।
হাতে পাঁচ মাসের চেয়েও কম সময়। বিধানসভার ফলাফল দেখে তাই সঙ্ঘ চাইছে মোদী-নির্ভর প্রচারের অভিমুখ পাল্টাতে। মোহন ভাগবতরা মনে করছেন, ২০১৪-র লোকসভা ভোটের সময় থেকে দলের একমাত্র প্রচারের মুখ হিসেবে সামনে রয়েছেন মোদী। সেই ছবি পাল্টানো প্রয়োজন। পাঁচ রাজ্যের ভোটের পরে সঙ্ঘের সেই ভাবনা আরও গতি পেয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর, মোদী ছাড়াও রাজনাথ সিংহ, নিতিন গডকড়ী, সুষমা স্বরাজের মতো নেতা-নেত্রীদের বেশি করে ময়দানে নামানোর পরামর্শ দিয়েছে নাগপুর।
প্রশ্ন হল, মোদী-অমিত শাহ কি সেই পরামর্শ শুনবেন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy