জগদলপুরে নির্বাচনী প্রচারে নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার। ছবি: পিটিআই।
ছত্তীসগঢ়ে ভোটের পরেই মাওবাদীদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান শুরু হবে। তার আগে ভোটের ময়দানে মাওবাদী হামলার প্রসঙ্গকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে হাতিয়ার করলেন নরেন্দ্র মোদী।
আজ এই রাজ্যের বিভিন্ন নির্বাচনী সভায় খোলাখুলি কংগ্রেসের সঙ্গে মাওবাদীদের যোগসাজশের অভিযোগ তুললেন মোদী। ছত্তীসগঢ় ভোটে এটাই তাঁর প্রথম নির্বাচনী সভা। সেখানে কংগ্রেসকে দলিত-আদিবাসীদের শত্রু চিহ্নিত করতেও চেষ্টার কসুর করলেন না তিনি। প্রথম দফার নির্বাচনের ঠিক আগে মাওবাদী বিস্ফোরণে বারবার কেঁপে উঠছে ছত্তীসগঢ়। মারা গিয়েছেন দূরদর্শনের সাংবাদিক ও জওয়ানেরা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় দন্তেওয়াড়ায় বড় অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্র। ভোট মিটলে জোর কদমে শুরু হবে প্রস্তুতি।
কেন্দ্রে সাড়ে চার বছরের বেশি ও ছত্তীসগঢ়ে প্রায় ১৫ বছর ধরে বিজেপিরই সরকার চলছে। পরের পর মাওবাদী হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ার দায় তবু নিজেদের ঘাড়ে না রেখে মোদী আঙুল তোলেন কংগ্রেসের দিকে। তাঁর কথায়, ‘‘মাওবাদীরা দানব। মগজ শয়তানিতে ভরা। আগেকার সরকার এদের বিরুদ্ধে কিছুই করেনি। এখনও শহুরে মাওবাদীদের সমর্থন করছে কংগ্রেস। বস্তারের মানুষের কাছে তাই আবেদন, কংগ্রেসকে শিক্ষা দিন। এরা শহুরে নকশালদের ঢাল করছে। আবার ছত্তীসগঢ়কে নকশালমুক্ত করার কথাও বলছে।’’
আরও পড়ুন: ছত্তীসগ়ঢ়ে ক্ষমতায় এলে ১০ দিনের মধ্যেই ঋণ মকুব, আশ্বাস রাহুলের
গত ৩০ অক্টোবর মাওবাদীদের গুলিতে দূরদর্শনের এক ক্যামেরাম্যান এবং বিস্ফোরণে জওয়ানদের মৃত্যুর প্রসঙ্গে মোদী বলেন, ‘‘লজ্জাজনক ভাবে কংগ্রেস এদের বিপ্লবী বলছে!’’ তাঁর কথায়, ‘‘শহুরে নকশালরা এসি বাড়িতে থাকে, দামি গাড়ি চাপে, ছেলেমেয়েদের পড়তে পাঠায় বিদেশে। আর আদিবাসীদের জীবন ধ্বংস করতে এরাই তরুণদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। এদের সমর্থন করে চলেছে কংগ্রেস!’’
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, দন্তেওয়াড়ায় সর্বাত্মক অভিযান হবে শীঘ্রই। সূত্রের খবর, তৈরি হচ্ছে মাওবাদীরাও। এই এলাকায় তাদের সদর দফতর। দুর্গ বাঁচাতে সর্বশক্তি কাজে লাগাবে তারাও। পুলিশ-প্রশাসনকে দূরে রাখতে এ বারও
ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে তারা। প্রতি বারের মতো এ বারও বিপাকে পড়েছেন মানুষ। ভোট না দিলে নিজেদের ক্ষতি, আছে রাজনৈতিক চাপ। ভোট দিলেও বিপদ। আর মোদীর দাবি, কংগ্রেসই অনগ্রসরদের আসল শত্রু। তাঁর কথায়, ‘‘কংগ্রেস সব সময়েই গরিব আদিবাসী, দলিত, প্রান্তিকদের ভোটব্যাঙ্ক বানাতে চেয়েছে। আদিবাসীদের নিয়ে ওরা মজা করে। উত্তর-পূর্বের এক রাজ্যে গিয়ে আমি এক বার আদিবাসীদের পোশাক পরেছিলাম। কংগ্রেস নেতারা বিস্তর হাসি-মস্করা করেছিলেন। এটা আদিবাসী সংস্কৃতির অপমান।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy