মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস-এনসিপি রফা প্রায় পাকা। কিন্তু বিজেপির বাগে আসছেন না উদ্ধব ঠাকরে।
রাহুল গাঁধী-শরদ পওয়ারের তিন দফায় বৈঠকের পর মহারাষ্ট্রে দুই দলের নেতারা আলোচনায় বসে নিজেদের সমঝোতার অঙ্ক প্রায় পাকা করে ফেলেছেন। দর কষাকষির পর স্থির হয়েছে, দুই দলই সমান আসনে লড়বে। ছোট দলগুলিকে নিজেদের ভাগ থেকে আসন দেবে। বিরোধী শিবিরের ঘর গোছানো দেখে আরও আতঙ্কে বিজেপি। কারণ, বারবার বার্তা পাঠানোর পরেও উদ্ধবের গোঁ সামলানো যাচ্ছে না। শিবসেনা প্রধান আগামী ভোটে ‘একলা চলো’-র নীতি ঘোষণার পর অমিত শাহ গিয়েছিলেন ‘মাতুশ্রী’তে। কিন্তু জোট নিয়ে কথাই বলতে চান না উদ্ধব। বেগতিক দেখে নিজের দলের রাজ্য নেতাদের এক মাসের মধ্যে জোট নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন বিজেপি সভাপতি।
ভোটের কৌশল রচনার বিষয়ে অমিতকে ‘চাণক্য’ বলে থাকেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু মহারাষ্ট্রে তাঁকে টেক্কা দিয়ে ফেলেছেন রাহুল গাঁধী। পওয়ারের সঙ্গে কথা বলে মোটের উপর জোটের অঙ্ক তৈরি করেছেন। যার সূত্র ধরে দুই দলের রাজ্য নেতারা যে খসড়া করেছেন, তাতে রাজ্যের মোট ৪৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে দুই দলই সমান সংখ্যক কেন্দ্রে লড়বে। আর দুই দলই নিজের ভাগ থেকে ছোট দলগুলিকে আসন দেবে।
গত বার কংগ্রেস ২৬টি আসনের ২টি পেয়েছিল, এনসিপি ২১টিতে লড়ে ৪টি। কংগ্রেস এ বারেও ২৬টিতে লড়তে চেয়েছিল। কিন্তু এনসিপি বলে, গত বার তারা বেশি আসন পেয়েছে। এ বার সমান আসনে লড়বে তারা। কংগ্রেস তা আপাত ভাবে মেনেও নিয়েছে। প্রকাশ অম্বেডকর, বাম দলের নেতারাও জোট করে লড়তে চান। সে বিষয় পরে ঠিক হবে।
দূত মারফত শিবসেনাকে বিজেপি বোঝাচ্ছে, বিরোধী শিবিরে জোট হয়ে যাচ্ছে। এখনও শাসক দল জোট না করলে বিজেপির থেকে শিবসেনারই লোকসান বেশি। কিন্তু শিবসেনা শিবির বলছে, ‘‘বিজেপি আর আগের মতো ‘দাদাগিরি’ করতে পারবে না। সামনের বছর লোকসভা ভোটের পরেই বিধানসভার ভোট। উদ্ধবকে মুখ্যমন্ত্রী করার বিষয়টি এখনই পাকা করতে হবে।’’ কিন্তু বিজেপির পাল্টা বক্তব্য, দেবেন্দ্র ফডণবীসের মতো নবীন মুখকে এনেছেন নরেন্দ্র মোদী। মুখ্যমন্ত্রী ভাল কাজও করছেন। তা ছাড়া, গত ভোটে শিবসেনার থেকে বিজেপি ভাল ফলও করেছে। যদিও উদ্ধবের মন রাখতে মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা চন্দ্রকান্ত পাটিল বলেন, ‘‘ভোটের পর মুখ্যমন্ত্রীর বিষয়টি ঠিক হবে। শিবসেনার এখন উচিত বিজেপির সঙ্গে জোট করা, যাতে হিন্দু ভোট এককাট্টা থাকে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy