Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

মিষ্টি খাওয়া থেকে বিরত করতে মাধুরীর সঙ্গে আলাপ করানো হয়েছিল বাজপেয়ীকে

চিকিৎসকের বারণ সত্ত্বেও মিষ্টির প্রতি লোভ সামলাতে পারতেন না তিনি।

অটলবিহারী বাজপেয়ী। —ফাইল চিত্র।

অটলবিহারী বাজপেয়ী। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৮ ০৩:৫১
Share: Save:

মশলাদার চাট, কাবাব আর চিংড়ি খেতে ভালবাসতেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। চিকিৎসকের বারণ সত্ত্বেও মিষ্টির প্রতি লোভ সামলাতে পারতেন না তিনি। খাবারের প্রতি বাজপেয়ীর এমন ভালবাসার কথা বলতে গিয়ে একটি মজার ঘটনা জানালেন বাজপেয়ী-ঘনিষ্ঠ জনৈক সাংবাদিক। তখন বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী। এক বার সরকারি এক অনুষ্ঠানের শেষে ভূরিভোজের আয়োজন করা হয়েছে। ডে়জ়ার্ট কাউন্টারের শুরুতেই সাজানো গরম গুলাব জামুন। বাজপেয়ীকে সে দিকে এগিয়ে যেতে দেখে প্রমাদ গুনলেন ঘনিষ্ঠেরা। চিকিৎসকের কড়া নির্দেশ, মিষ্টি খাওয়া যাবে না। ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতও। বুদ্ধি করে সেই সময়েই মাধুরীর সঙ্গে বাজপেয়ীর আলাপ করিয়ে দেওয়া হল। ব্যস! মাধুরীর সঙ্গে বলিউড আর ছবির গল্পে মশগুল হয়ে গেলেন বাজপেয়ী। সেই সুযোগে তড়িঘড়ি মিষ্টিগুলি তাঁর নজরের সামনে থেকে সরিয়ে নেওয়া হল।

যখনই নতুন কোনও জায়গায় যেতেন, স্থানীয় খাবার চাখতে ভুলতেন না বাজপেয়ী। কলকাতার ফুচকা, হায়দরাবাদের বিরিয়ানি আর হালিম, লখনউয়ের গলৌটি কাবাব ছিল তাঁর বিশেষ পছন্দের। এক ঘনিষ্ঠ জানালেন, ক্যাবিনেট মিটিং চলাকালীন বাদামে, ড্রাই ফ্রুটে মুখ চালাতেন প্রাক্তন এই প্রধানমন্ত্রী। বেশি করে চাট মশলা দেওয়া পকোড়া আর মশলা চা— বাজপেয়ীর আড্ডায় থাকতই। এমনকি শেষের দিকে, যখন শরীর বেশ খারাপ তখনও শিঙাড়া আর কাজুবাদামের লোভ সামলাতে পারতেন না। রসনায় তাঁর বাসনার কথা জানতেন মন্ত্রী-আমলারাও। বেঙ্কাইয়া নায়ডু তাঁর জন্য অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে চিংড়ি পাঠাতেন। খাওয়াতেও ভালবাসতেন বাজপেয়ী। যখনই বা়ড়িতে সাংবাদিকদের ডাকতেন, একটা না একটা পদ নিজের হাতে রেঁধে খাওয়াতে ভুলতেন না তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE