Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

অযোধ্যা নিয়ে আর্জি খারিজ ১০ সেকেন্ডে

দীপাবলির পরে আদালত খুলতেই রামমন্দির মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি নিয়ে আরও চাপ দিতে গিয়েছিল গেরুয়া শিবির। শুনানি শুরুর মাত্র দশ সেকেন্ডেই তা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট! পরিস্থিতি দেখে আদালতের বাইরে নিষ্পত্তিতে সক্রিয়তা বাড়ল।  

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:২০
Share: Save:

দীপাবলির পরে আদালত খুলতেই রামমন্দির মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি নিয়ে আরও চাপ দিতে গিয়েছিল গেরুয়া শিবির। শুনানি শুরুর মাত্র দশ সেকেন্ডেই তা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট! পরিস্থিতি দেখে আদালতের বাইরে নিষ্পত্তিতে সক্রিয়তা বাড়ল।

সুপ্রিম কোর্টে ঠিক এমন ছবিটাই দেখা গিয়েছিল সপ্তাহ দুয়েক আগেও। তখনও প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কল ও বিচারপতি কে এম জোসেফকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ চার মিনিটেই শুনানি শেষ করে জানিয়ে দিয়েছিল, আগামী বছরের জানুয়ারিতে ঠিক হবে কবে থেকে অযোধ্যা মামলার শুনানি শুরু হবে। সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব অগ্রধিকার আছে। আজ ‘অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা’ ফের দ্রুত শুনানির আর্জি জানাতেই প্রধান বিচারপতি তা খারিজ করে বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই আমরা রায় দিয়েছি। জানুয়ারিতেই আবেদন আসছে।’’

গোটা মামলা খারিজ হতে সময় লাগল দশ সেকেন্ড! কংগ্রেস বলছে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদী নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে যতই রামমন্দিরের হাওয়া তুলতে চান, সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করল, তারা কর্মসূচি মেনেই চলবে। ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের সদস্য ও আইনজীবী জাফরইয়াব জিলানি বলেন, ‘‘এর মধ্যে নতুন কী আছে? সুপ্রিম কোর্ট আগেই স্পষ্ট করেছে, তারা তাদের কর্মসূচি মেনেই চলবে। সেই মোতাবেকই আজকের রায় এসেছে।’’

হিন্দু মহাসভার আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট অন্য কোনও রায় দেবে, এমন প্রত্যাশা ছিল না বিজেপিরও। তাদের মতে, রামমন্দির নিয়ে হাওয়া তুললে ভোটে লাভ হতে পারে। কিন্তু সাধুসন্ত ও হিন্দুদের মধ্যে যে রোষ তৈরি হচ্ছে, সেটি আশঙ্কার। সুপ্রিম কোর্ট যদি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত এটিকে ঝুলিয়ে রাখে, তা হলে সরকারকে বিবেচনা করে দেখতে হবে, কোন পথে মন্দির নির্মাণ করা যায়। বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী আজকের সিদ্ধান্তে বিস্মিত নন। তাঁর মতে, চলতি বছরের শেষে কিছু বিচারপতি অবসর নেবেন। সে কারণেই জানুয়ারিতে শুনানির দিন রাখা হয়েছে। যাতে যে বিচারপতিদের নিয়ে সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠিত হবে, তাঁরা অন্তত মাস চারেক থাকতে পারেন।

এরই মধ্যে বিজেপি আজ দাবি করে, স্বঘোষিত ধর্মগুরু রবিশঙ্করের মধ্যস্থতায় অযোধ্যা মামলায় মুসলিম মামলাকারীরা আদালতের বাইরে নিষ্পত্তিতে রাজি হয়েছেন। জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের প্রধান হাসান রিজভিও আজ বলেন, বেশির ভাগ মুসলিম সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা সকলেই অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণের পক্ষে। ১৪ নভেম্বর এই নিয়ে বৈঠকও রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE