গুরমিত রাম রহিম সিংহ।- ফাইল চিত্র।
বাবা হলেন গিয়ে ‘যক্ষ’!
আর তাঁর ‘যক্ষপুরী’তে রয়েছে লক্ষ লক্ষ রত্ন, মণি-মাণিক্য। টাকা জমতে জমতে পাহাড়! বিন্দুমাত্র ট্যাক্স দিতে হয় না বলে সেই টাকার পাহাড়ের উচ্চতা প্রতি দিন যতটা করে বাড়ে, কত শতাব্দীতে ততটা বাড়ে এভারেস্টের উচ্চতা, তা নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে।
‘যক্ষপুরী’র ধন-দৌলতের মতোই কলসে কলসে ভরা থাকে টাকা, বাবার আশ্রমে। ডেরা সচ্চা সৌদায়। পঞ্জাব, হরিয়ানায় বাবার স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় কয়েকশো কোটি।
আরও পড়ুন- রাম রহিমের বিরুদ্ধে সাধ্বীর সেই চিঠি, পড়লে শিউরে উঠবেন
আরও পড়ুন- ডেরা-র ৩৬টি আশ্রম সিল করল পুলিশ, বিক্ষিপ্ত গোলমাল সিরসায়
সর্বভারতীয় দৈনিক ‘দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস’-এর খবর, দিনে বাবার ‘ডেরা’ ডেরা সচ্চা সৌদার ‘সচ্চা’ রোজগার ছিল ১৬ লক্ষ ৪৪ হাজার ৮৩৩ টাকা। তিন বছর আগে! তার পর আরও ১১০০ দিনে আরও প্রায় ১০ গুণ বেড়ে গিয়েছে বাবার ‘ডেরা’র দৈনিক রোজগার। আরেকটি দৈনিক ‘জনসত্তা’ জানাচ্ছে, ২০১০-’১১ সালে ডেরা সচ্চা সৌদার বার্ষিক রোজগার ছিল ১৬ কোটি ৫২ লক্ষ ৪৮ হাজার ৪৫৫ টাকা। তার পরের বছরেই তা লাফিয়ে বেড়ে হয় ২০ কোটি ২০ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯৯৯ টাকা। আর ২০১২-’১৩-য় তা পৌঁছে যায় ২৯ কোটি ৮ লক্ষ ১৮ হাজার ৭৬০ টাকায়। আর তার পরেও ’৬১ সালের আয়কর আইনের ১০(২৩) অনুচ্ছেদের যাবতীয় সুযোগসুবিধা পায় বাবার আশ্রম। কোনও আয়করই দিতে হয় না।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট রক্তদান শিবির ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের মতো কয়েকটি জনকল্যাণমূলক প্রকল্পেও জড়িয়ে রয়েছে বাবার ‘ডেরা’র নাম। বাবা নিজে অভিনয় ও পরিচালনা করেছেন তাঁর আশ্রমের প্রযোজনায় বানানো চারটি ফিল্মে। সেই ফিল্মগুলির নাম- ‘দ্য মেসেঞ্জার অফ গড’, ‘মেসেঞ্জার অফ গড-টু’, ‘জাট্টু ইঞ্জিনিয়ার’, ‘হিন্দ কা নাপাক কো জবাব’ এবং ‘এমএসজি দ্য ওয়ারিয়র লায়ন হার্ট’। ওই ছবিগুলিতে অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজকের ভূমিকা ছাড়াও বাবাই ছিলেন মূল কোরিওগ্রাফার, গায়ক। বাবার নিজের আছে একটি রেঞ্জ রোভার এসইউভি। আর সব সময়ে বাবার কনভয়ে থাকে কম করে ১০০টি গাড়ি। যে ৩৬ জন ভিভিআইপি’কে এ দেশে ‘জেড’ ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়, বাবা তাঁদের অন্যতম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy